হারের মুখ থেকে জয়ের বন্দরে
ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নাকি বাংলাদেশ? এমন জায়গা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া তো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোনো দলের পক্ষেই সম্ভব। বাংলাদেশ পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে যা খেললো, সেটি যদি একপাশে সরিয়েও রাখা যায়; আজকের ম্যাচটি অন্য এক বাংলাদেশের বার্তা দেবে।
সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে পড়লে আগে তালগোল পাকিয়ে ফেলতো টাইগাররা। হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের হয়ে যাওয়ার নজির তো আছে ভুরিভুরি।
কিন্তু এবার দেখা গেলো উল্টো চিত্র। ম্যাচটি হাতের মুঠোয় ছিল ইংল্যান্ডের। ১২ ওভার শেষেও মনে হচ্ছিল (ইংল্যান্ডের রান ছিল ১ উইকেটে ৯৫), হেসেখেলেই জিতে যাবে ইংলিশ বাহিনী। সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন টাইগারদের। কে ভেবেছিল?
দুই সেট ব্যাটার ডেভিড মালান আর জস বাটলার তখন ক্রিজে। ১৩তম ওভারে এসে সাকিব আল হাসান দেন ৫ রান। পরের ওভারেই ম্যাচটা ঝুলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম বলে সাজঘরে ফেরান হাফসেঞ্চুরিয়ান মালানকে। পরের বলে মেহেদি হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে রানআউট আরেক সেট ব্যাটার বাটলার। মোস্তাফিজের ওই ওভারকে বলা যায় টার্নিং পয়েন্ট। মোটে ২ রান তুলতে পারে ইংল্যান্ড, হারায় ২টি উইকেট।
১৫তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ দেন ৬ রান। তার পরের ওভারে হাসান মাহমুদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন মঈন আলি-বেন ডাকেট। কিন্তু ১৭তম ওভারে তাসকিন আহমেদ এসে ফের বাংলাদেশকে নিয়ে আসেন কক্ষপথে। ওই ওভারে মঈন-ডাকেট দুজনকেই ফেরান তাসকিন, দেন মাত্র ২ রান।
এরপর ১৮ নম্বর ওভারে মোস্তাফিজ ৫, ১৯ নম্বরে সাকিব ৪ রান দিয়ে স্যাম কারানকে তুলে নিলে শেষ ওভারে ২৭ রান দরকার পড়ে ইংল্যান্ডের। যা কিনা ছিল প্রায় অসম্ভব। হাসান মাহমুদের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ক্রিস ওকস দুটি বাউন্ডারি হাঁকালেও শেষ ৪টি বল ঠাণ্ডা মাথায় শেষ করেছেন এই পেসার। দিয়েছেন মাত্র দুটি বাই।
শেষ পর্যন্ত অসাধারণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টাইগারদের ১৫৯ রানের লক্ষ্যও পার হতে পারেনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এমন জয় তো অনেক দিন মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব!
এমএমআর/এমএস