তিন ফরম্যাটেই ১০বার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার কোহলির হাতে
আহমেদাবাদ টেস্টে রান পেয়ে স্বস্তি ফিরল বিরাট কোহলির। মাত্র ১৪ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও আক্ষেপ নেই তার। বরং দীর্ঘদিন পর নিজের মতো ব্যাটিং করতে পেরে খুশি কোহলি। সে সঙ্গে ম্যাচের সেরা হওয়াটা তার কাছে বোনাস। আহমেদাবাদ টেস্টে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়ে তিনি রেকর্ডও গড়ে ফেললেন।
বিরাট কোহলি প্রথম ক্রিকেটার যিনি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট অর্থাৎ টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে ন্যুনতম ১০ বার করে ম্যাচের সেরা হওয়ার রেকর্ড গড়লেন। সোমবার আহমেদাবাদে ম্যাচের সেরা হয়ে ষোলকলা পূর্ণ হল তার। এই রেকর্ড এখনও পর্যন্ত আর কোনোও ক্রিকেটারেরই নেই।
বিরাট কোহলি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরা হয়েছেন ওয়ানডেতে। ৩৮বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি সেরা হয়েছেন ১৫বার এবং ১০ বার সেরা হলেন টেস্টে।
আহমেদাবাদের ২২ গজে ব্যাট করে সন্তুষ্ট ভারতের সাবেক অধিনায়ক। তার ১৮৬ রানের ওপর ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে গিয়ে থামে ৫৭১ রানে। সোমবার ম্যাচের পর কোহলি বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজের কাছে যে প্রত্যাশা থাকে, সেটা আমার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে খেলতে চাই, সেভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারছিলাম না। গত ১০ বছর যেভাবে খেলেছি, তেমন খেলতে পারছিলাম না। তাই একটু সময় নিচ্ছিলাম। আগের মতো খেলার চেষ্টা করছিলাম। নাগপুরের প্রথম ইনিংসেই বুঝতে পেরেছিলাম, অনেকটা ভাল ব্যাট করছি।’
বড় রান পেয়ে খুশি কোহলি। উচ্ছ্বাস চেপে না রেখে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকে দলের জন্য যত বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করা। সব সময় উইকেটে থাকার চেষ্টা করি। একটা পর্যায় পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারলেও আগের মতো পারছিলাম না কিছুদিন। এ জন্য কিছুটা হতাশ লাগছিল। এই টেস্টটা আবার আগের মতো করে খেলতে পেরে ভাল লাগছে। যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবেই খেলতে পেরেছি। ভাল লেগেছে, অনেক ভাল ডিফেন্স করতে পারায়। বলতে পারেন নিজের খেলায় আমি খুশি। কাউকে ভুল প্রমাণ করার ছিল না। কেন মাঠে নামছি, সেটা নিজের কাছে আরও যুক্তিগ্রাহ্য করতে চাইছিলাম।’
প্রসঙ্গত, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ভারতের দখলেই থাকল। আহমেদাবাদে চতুর্থ টেস্ট ড্র হতেই ২-১ ফলে সিরিজ জিতে নিল ভারত। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ জিতেছিল ভারত। এবার দেশের মাটিতেও সিরিজ জিতে ভারতের দখলেই রইল এই ট্রফি।
আহমেদাবাদের ফাটা পিচে প্রথম দিন থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন দুই দলের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনের জোড়া সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে ছিল অসিরাই। তবে পাল্টা ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান শুভমান গিল।
সাড়ে তিন বছরের খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলিও। ৫৭১ রান তোলে ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়। তখনই বোঝা হয়ে গিয়েছিল, ম্যাচটি ড্র হতেই চলেছে।
আইএইচএস/