আবেগাপ্লুত সৌরভ
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সবসময় জড়িয়ে থাকবে
তিনি বাঙালি। এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে তাই অনেকটাই মিশে যেতে পারেন সৌরভ গাঙ্গুলি। বাংলাদেশের মানুষও তাকে অন্য যে কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।
সৌরভ সেটা জানেন। ‘ডিএনসিসি মেয়র কাপ-২০২৩’ সিজন-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
সৌরভ বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে, বাংলাদেশে আমি প্রথম আসি ১৯৮৯ সালে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিলাম। সেই থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। প্রচুর মানুষ বন্ধু আমার।’
‘আমি বহুদিন ধরে যাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি আকরাম (খান), আতহার (আলি খান), (খালেদ মাসুদ) পাইলট আছে। আমি অনেকদিন পর এলাম ঢাকায়। সবশেষ এসেছিলাম (২০১৪) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়, যেবার শ্রীলঙ্কার কাছে ফাইনালে হারে ভারত। তখনই শেষ ঢাকায় এসেছিলাম। বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় এরপর আর সময় হয়ে ওঠেনি এখানে আসার। তবে একটা কথা আমি বলি, যতবারই আমি এখানে আসি, এত মানুষের ভালোবাসা পাই যে বুঝতে পারি না এটা ভারত না বাংলাদেশ। আমাকে এত ভালোবাসা, এত নিজের মনে করার জন্য আমার তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।‘
২০০০ সালে বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পায়, প্রথম ম্যাচটিই ছিল ভারতের বিপক্ষে। ওই টেস্টে আবার ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় সৌরভ গাঙ্গুলির।
সেই স্মৃতি আওড়ে সৌরভ বলেন, ‘আমার প্রথম টেস্ট অধিনায়কত্ব বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে আমার নাম সবসময় জড়িয়ে থাকবে। কারণ ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ, ২০০১ সালে (আসলে ২০০০)। আর আমার প্রথম টেস্ট, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে।’
‘আমার এখনও মনে আছে, তখনও নতুন স্টেডিয়াম হয়নি। পুরনো স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ মনে হয় প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল। তারপর যখন ড্রেসিংরুমে ঢুকি আমি, আমার মনে হলো-এ কী! আমি অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ হেরে যাব! তারপর আমরা ফিরে এসে টেস্ট ম্যাচটা জিতি।’
সৌরভ যোগ করেন, ‘আমার জীবনের বহু মূল্যবান মুহূর্তের সাক্ষী বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ। এখনও মনে আছে, ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপের ফাইনালে আমরা ৩১৫ রান তাড়া করে জিতি। তখনকার দিনে ৩১৫ রান অনেক বড় ছিল। কিন্তু আমার মনে আছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এত সুন্দর আলো বা ফ্লাডলাইট ছিল না তখন। ফুটবলের বাতির আলোয় খেলা হয়েছে শেষ পর্যন্ত। আর আমরা সেই ম্যাচটা সেখানে জিতি।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম