বোর্ড চাইলে মাশরাফিকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় দিতে রাজি নির্বাচকরা
অধিনায়ক হিসেবে তিনি কী পারেন, মাশরাফি বিন মর্তুজার মধ্যে ক্যাপ্টেন্স ম্যাটেরিয়াল কতটা, তা সবার জানা। মাঝারি মানের সিলেট স্ট্রাইকার্স এবার মাশরাফির নেতৃত্বে দুর্দমনীয় দলে পরিণত হয়েছে।
তবে শুধু অধিনায়ক হিসেবে নয়, বোলার মাশরাফিও যে এখনও ফুরিয়ে যাননি, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। দীর্ঘ ৮ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে বল হাতে প্রতি ম্যাচেই সাফল্য পাচ্ছেন মাশরাফি। ৬ ম্যাচে তার নামের পাশে ৯ উইকেট।
প্রিয় ক্রিকেটারের এমন বোলিং দেখে ভক্ত ও সমর্থকদের আফসোস বেড়েছে আরও। ইশ, এই মাশরাফি যদি জাতীয় দলে থাকতেন! দলের কত উপকারই না হতো!
অথচ মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন ৬ বছর আগে (২০১৭ সালের এপ্রিলে)। এরপর জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েও অবহেলার শিকার হয়েছেন তিনি। তাকে নানা ছলছুতোয় আর জাতীয় দলে নেওয়া হয়নি। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ানোর সুযোগটুকু পাননি মাশরাফি।
মাশরাফিও অভিমান করে এখনও অবসরের ঘোষণা দেননি। কিন্তু ভক্ত ও সমর্থকদের প্রবল ইচ্ছে, মাশরাফিকে অন্তত অবসরের ঘোষণা দেওয়ার একটা মঞ্চ তৈরি করে দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন>নাসির ও সৌম্যকে নিয়ে যা ভাবছেন নির্বাচকরা
বোর্ড থেকে এখন পর্যন্ত সে ঘোষণা না আসলেও আজ (সোমবার) অন্যতম নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকের কণ্ঠে এক নতুন কথা। বিকেলে শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপে নির্বাচক রাজ্জাকের কথা শুনে মনে হয়েছে, নির্বাচকরা তাকিয়ে বোর্ডের দিকে। যদি বোর্ড সম্মত হয়, তাহলে মাশরাফিসহ আরও কজন ক্রিকেটারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দল থেকে অবসরের সুযোগ দেওয়া হবে।
রাজ্জাক বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত। এসব স্পেশাল ডিসিশন। যদি বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই এই ব্যাপারে। আমরা চাই খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে যেন বিদায় নেয়। দেখতেও ভালো লাগবে, মানুষও খুশি হবে। এটা পুরোপুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত।’
রাজ্জাক যোগ করেন, ‘বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত আমরা সম্মান জানাব। শুধু মাশরাফির ক্ষেত্রে নয়, সবাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যারা অনেক দিন ধরে খেলেছে, সবার ক্ষেত্রে এমন হলেই ভালো। খেলোয়াড়েরও একটা স্মৃতি থাকবে। মাঠ থেকে বিদায় নিলে খারাপ হয় না।’
আরও পড়ুন>বোলিং করলেও যে কারণে ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি আফিফ
এদিকে মাশরাফি তো এখনও দুর্বার। বিপিএলে বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই ব্যাপারটা নির্বাচকরা কিভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কাছে।
উত্তরে নান্নু বলেন, ‘লিজেন্ড ক্রিকেটার তো সবসময় লিজেন্ডের মতোই চলে। মাশরাফি কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তার কাছ থেকে তরুণদের শেখার আছে। কিভাবে এই বয়সে পারফর্ম করতে হয়, নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে হয়। অনেক কিছুই শেখার আছে। তরুণদের জন্য প্রেরণাদায়ক।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস