ঢাকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতেও অবনমনে চট্টগ্রাম
শেষ ম্যাচ জিতেও লাভ হলো না চট্টগ্রাম বিভাগের। কী করে হবে? আজ বৃস্পতিবার বিকেএসপি মাঠে ঢাকার বিপক্ষে ২৭ রানের জয়টিই ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র জয়। যার সুবাদে ইরফান শুক্কুরের দলের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১২। যা তৃতীয় হওয়া ঢাকা বিভাগের চেয়েও ৭ পয়েন্ট কম।
অন্যদিকে হারলেও ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হলো ঢাকা। আগেই জানা, ৬ ম্যাচে সর্বাধিক চার জয়ে ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে এক নম্বর টায়ারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর। আর সমান ৬ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে ১৯ পয়েন্ট পেয়ে এক নম্বর টায়ারে রানার্সআপ হয়েছে সিলেট।
তৃতীয় দিন শেষে জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছিল ঢাকা। বৃহস্পতিবার এ পর্বের শেষ ম্যাচ জিততে ৮৭ রান দরকার ছিল ঢাকার। অধিনায়ক তাইবুর রহমান পারভেজের ব্যাটই জয়ের আশা দেখাচ্ছিল ঢাকাকে।
বিকেএসপিতে ২৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্য সামনে রেখে বুধবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ঢাকার স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৬৮। অধিনায়ক তাইবুর রহমান পারভেজ ৭১ রানে ছিলেন অপরাজিত। নাদিফ চৌধুরী (২২) ছিলেন তার সঙ্গে। দেখার বিষয় ছিল, শেষ ইনিংসের বাকি অর্ধেক হাতে থাকা ঢাকা অবশিষ্ট ৮৭ রান করে জিততে পারে কিনা। শেষ পর্যন্ত তা পারেনি তাইবুর রহমান পারভেজের দল।
চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ আর পেসার ইয়াসিন আরাফাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকার জয়ের স্বপ্ন। তাদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছে ঢাকার। ৭১ রানে অপরাজিত তাইবুর রহমান ফিরে গেছেন আর মাত্র ১ রান যোগ করেই।
অপর অপরাজিত (২২ রানে) ব্যাটার নাদিফ চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার আর কোনো রান করতে পারেননি। দুজনকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন পেসার ইয়াসিন আরাফাত।
এরপর শাহবাজ চৌহান (অপরাজিত ৩৩) আর বাঁহাতি পেসার সুমন খান (১৯) চেষ্টা করেও সফল হননি। তাতে পরাজয়ের ব্যবধানই কমেছে শুধু। চট্টগ্রামের পেসার ইয়াসিন আরাফাত ৫০ রানে ৩ আর বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৮৯ রানে ৬ উইকেট।
এআরবি/এমএমআর/এমএস