শ্রীরামের চুক্তি ছিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত, এরপরের সিদ্ধান্ত কী?

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২২

বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ থেকে শ্রীধরন শ্রীরামকে দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ টাইগারদের, ভারতীয় কোচের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি কি করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)?

এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের যে পারফরম্যান্স, তাকে একেবারে খুব ভালো কিংবা খুব খারাপ বলার উপায় নেই। মূলপর্বে এর আগে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। এবার জিতেছে দুই ম্যাচ।

তবে জয়গুলো খর্বশক্তির নেদারল্যান্ডস আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বড় কোনো দলকে হারাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। তাই বিশ্বকাপের সেরা সাফল্যেও প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সবমিলিয়ে গত প্রায় আড়াই মাসে শ্রীরামের অধীনে বাংলাদেশ খেলেছে ১৩ ম্যাচ। যেখানে জয় এসেছে ৪টিতে। প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস।

আড়াই মাস খুব কম সময়। এই সময়ের মধ্যেই একজন কোচের সাফল্য-ব্যর্থতা বিচার করা কঠিন। শ্রীরামের সঙ্গে কি চুক্তি বাড়াবে বিসিবি? প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে ছুটে গিয়েছিল এমন প্রশ্ন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে বিসিবি সিইও বলেন, ‘শ্রীরামের চুক্তি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল। এরপরেরটা হলো পলিসি ম্যাটার। এটা বোর্ডে আলাপ করে সিদ্ধান্ত হবে। সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে নাই। আমার মনে হয় হ্যাঁ বা না বলার ঠিক সময় না এটা। মাত্র টুর্নামেন্ট শেষ হলো, দল কেবলই আসলো। হয়তো এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত পাব, পেলে জানানো যাবে।’

শ্রীরামকে নিয়ে খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন কেমন? তারা কি এই কোচকে দীর্ঘ সময়ের জন্য চাইছে? নিজামউদ্দিন চৌধুরীর উত্তর, ‘খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন বলেন আর যাই বলেন, দল তো কাল রাতেই মাত্র এলো। খেলোয়াড় বা টিম ম্যানেজমেন্ট বলুন, কারো সঙ্গে আমাদের ফরমাল বা ইনফরমাল আলাপ হয়নি এখনও। এই ধরনের বিষয়গুলো জানার জন্য আমাদের আলোচনা করতে হবে।’

ভারতীয় এই কোচের মধ্যে ইতিবাচক কী কী বিষয় দেখা গেছে? এমন প্রশ্নেও কৌশলী উত্তর বিসিবি সিইওর, ‘ইতিবাচক, নেতিবাচক এসব বিষয়ে পাবলিকলি কমেন্ট করার অবস্থায় নেই। বর্তমান সময়ে আমি নেই। যারা টিম ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের নীতি নির্ধারক, তারাই উত্তর দিতে পারবে।’

সামনে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। এই সিরিজ নিয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বললেন, ‘ইন্ডিয়া সিরিজ অনেক হাই ভোল্টেজ সিরিজ। ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা যেটা সেটা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আমাদের আন্তঃবিভাগীয় যে সমন্বয় সভা, সেগুলো আমরা নিয়মিত করছি। আজকেও তারই ধারাবাহিকতায় একটা মিটিং ছিল। আমরা সুবিধাগুলো দেখছি। আপনারা জানেন যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলা হবে। আমরা দেখছি এই দুই ভেন্যুর ফ্যাসিলিটিজে কোনো কিছু রক্ষণাবেক্ষণ বা সংযোজনের প্রয়োজন আছে কিনা। সেগুলো আমরা জেনেছি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

ভারতের কি আলাদা কোনো চাহিদা আছে? ‘সেরকম কিছু না। সিরিজের আগে ভারতের ‘এ’ দল বাংলাদেশ সফর করবে। ভারতের জন্য যে রিকোয়ারমেন্ট, অন্য আন্তর্জাতিক দলের বেলাতেও তা থাকে। আমরা সেরকম পরিকল্পনা করেই এসব বাস্তবায়ন করি। সেভাবে আমাদের কাজগুলো চলছে’-জানালেন বিসিবি সিইও।

নিরাপত্তা নিয়ে তার কথা, ‘নিরাপত্তার যে ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকারের যে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগ আছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। যেকোনো আন্তর্জাতিক সিরিজে যে প্রোটোকল আছে সেটাই আমরা চাইব। এর বাইরে বাড়তি যদি এসেস করে, তারা দরকার মনে করেন সেভাবেই করবেন।’

এমএমআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।