লিটন-সাকিবের জোড়া ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ বাংলাদেশের
ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে আগের ম্যাচেই। অবশেষে জ্বলে উঠলো বাংলাদেশের ব্যাটিং। বার্থডে বয় লিটন দাস আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা।
ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৭ রান তুলতে পারে টাইগারা। ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলেন শান্ত। এর মধ্যে উইকেট বিলিয়ে দেন সৌম্য সরকার।
নাসিম শাহর করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি তুলে মারতে গিয়ে মিডঅনে ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে ধরা পড়েন সৌম্য (৪ বলে ৪)। তাকে ওপেনিংয়ে তুলে আনার সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি।
নাজমুল হোসেন শান্তর প্রতিভায় পাহাড়সমান আস্থা টিম ম্যানেজমেন্টের। তবে সেই আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে পারছেন খুব কমই। ওপেনিংয়ে নেমে একবার ২৯ বলে ৩৩, আগের ম্যাচে ১২ বলে ১১ আর এবার ১৫ বল খেলে করলেন ১২ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডট বল খেলাকে বলা হয় অপরাধ। শান্ত আজ ওপেন করতে নেমে নিজের রানের খাতা খুলতেই লাগিয়েছেন ৯ বল। বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন। অবশেষে মোহাম্মদ ওয়াসিমের লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট চালিয়ে বাজেভাবে আউট শান্ত।
এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৮৮ রানের এক ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। অবশেষে এই জুটিটি ভাঙে লিটনের আউটে।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজকে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ উঠে যায় লিটনের। ৪২ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারসেরা ৬৯ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৩১ বলে ফিফটি পূরণ করেছিলেন তিনি।
এরপর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন ৩৩ বলে, এবারও সমান বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন টাইগার দলপতি।
ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন সাকিব। নাসিম শাহর বলে ডিপ মিডউইকেট বাউন্ডারিতে শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৪২ বলে গড়া তার ৬৮ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার।
এরপর ইয়াসির আলি আউট হন মাত্র ১ করে। মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা শেষ ওভারে ১০ বলে ১১ রানে রানআউট হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান নিতে পারে বাংলাদেশ। নাহলে পুঁজিটা আরও বড় হতে পারতো।
পাকিস্তানের নাসিম শাহ আর মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন দুটি করে উইকেট।
এমএমআর/এএসএম