পাকিস্তানকে উড়িয়ে বাংলাদেশের আশা প্রায় শেষ করে দিলো কিউইরা
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম দেখায় পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ (মঙ্গলবার) যেন সেই হিসেব কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিলো স্বাগতিকরা। বাবর আজমের দলকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে প্রতিশোধ নিলো কিউইরা।
ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩০ রানে আটকে দিয়ে ৯ উইকেট আর ২৩ বল হাতে রেখে জিতেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। তাদের এই জয়ে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেলো।
এখন তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তান দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৪। তবে রানরেটে এগিয়ে যাওয়ায় স্বাগতিকরা আছে এক নম্বরে, পাকিস্তান দুইয়ে।
বাংলাদেশের দুই ম্যাচে একটিও জয় নেই। শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তান আর নিউজিল্যান্ডকে হারালেও ফাইনালে উঠা কঠিন হবে টাইগারদের। কেননা রানরেটে তারা বাকি দুই দলের থেকে অনেক পিছিয়ে।
ক্রাইস্টচার্চে আজ (মঙ্গলবার) ১৩১ রানের লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। ১১৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন ফিন অ্যালেন আর ডেভন কনওয়ে।
৩০ বলে ফিফটি করা অ্যালেন স্টাম্পিং হন শাদাব খানের বলে। ৪২ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৪৬ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন কনওয়ে। ৯ বলে ৯ রান নিয়ে তার সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন দলপতি উইলিয়ামসন।
এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে ১৩০ রানেই থেমে গিয়েছিল পাকিস্তানের ইনিংস। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান ইনিংস বড় করতে পারেননি (১৭ বলে ১৬)। তবে বাবর আর শান মাসুদ জুটি গড়ার পথেই ছিলেন।
অষ্টম ওভারে ১ উইকেটে ৫৪ রান ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে আর ২৩ রান তুলতে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আনপ্রেডিক্টেবলরা। শান মাসুদ (১২ বলে ১৪), শাদাব খান (৭ বলে ৮), বাবর আজম (২৩ বলে ২১), হায়দার আলি (১১ বলে ৮) অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে গেলে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
১৩.২ ওভারে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আসিফ আলি আর ইফতিখার আহমেদ। তাদের জুটিতে আসে ৩৫ বলে ৫১ রান।
তবে মাঝের ধাক্কা সামলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে পারেননি তারা। ২৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৭ করে আউট হন ইফতিখার। আসিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রানে।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার আর মাইকেল ব্রেসওয়েল নেন দুটি করে উইকেট।
এমএমআর/জিকেএস