রোববার দুবাইতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ টাইগারদের
ক্রিকেট সংস্কৃতিতে বলা হয় ‘উইনিং ইজ এ হ্যাবিট।’ সেই জয়কে অভ্যাস পরিণত করতেই গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে ঠেলা গাড়ির গতি আর নিচু বাউন্সি পিচে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করেছিল বিসিবি।
উদ্দেশ্য ছিল ওই দুই বড় শক্তিকে নিজ মাটিতে চেনা-জানা পরিবেশে হারিয়ে জয়ের পথে থেকেই বিশ্বকাপের মাঠে নামবে টাইগাররা; কিন্তু জায়গামত সে সব কোনোই কাজে আসেনি। সেই স্লো পিচের লো স্কোরিং গেমে ১২০-এর আশপাশে স্কোর গড়ে জিতেও কোন লাভ হয়নি।
বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে গিয়ে উল্টো মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে। ওমান ছাড়া সবার কাছে হেরে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে।
এবার আর সে ভুল করতে চায় না বিসিবি। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে নির্জীব, মরা ও নিচু বাউন্সি এবং তুলনামূলক স্পিন সহায়ক উকেটে কোনো সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
এমনকি দেশের স্লো ও লো পিচে প্র্যাকটিসও হয়েছে কম। তাই নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে দুবাইয়ের তুলনামূলক ফার্ষ্ট উইকেটে ৬ দিনের প্রস্তুতির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রথমে শুধু ৪-৫টি প্র্যাকটিস সেশন কাটানোর কথা থাকলেও পরে আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছে।
এবং সে দুটি ম্যাচ কোন গা গরমের নয়, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বলে মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। ২৫ সেপ্টেম্বর, রোববার প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবেন নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, সাব্বির রহমান রুম্মন, মেহেদি হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদরা।
যেহেতু অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল খেলার জন্য ছুটি নিয়ে রেখেছেন, তাই তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে দুবাই পর্বে থাকছেন না। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল হাসান সোহান।
নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তান ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনজাতি আসরে টাইগারদের কম্বিনেশন কেমন হবে? নতুন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শ্রীধরন শ্রীরাম দলটাকে কিভাবে সাজাতে চাচ্ছেন? ওপেনিং জুটি কেমন হবে? সাকিবের অনুপস্থিতিতে স্পিনার থাকবেন কতজন? মোটামুটি দলের একটা রূপরেখা দাঁড় করানোর একটা চেষ্টা চলবে এই দুই ম্যাচের সিরিজে।
এর সাথে আরব আমিরাতের সঙ্গে সিরিজে টাইগারদের সামনে আছে আবার হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে জয়ের পথে পা রাখার সুযোগ। ভাবছেন, আরব আমিরাতের সঙ্গে জিতে কি লাভ হবে? এই জয় কি নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়া আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠে ব্যাট ও বল হাতে ক্রিকেটের মহারণে মুখোমুখি হওয়ার আগে রসদ ও উদ্দীপক সুধা হিসেবে কাজ করবে?
তা না করলেও অন্তত পরাজয়ের বৃত্ত থেকে তো বেরিয়ে আসা যাবে। টাইগারদের সামনে দুবাইয়ের এই ২ ম্যাচে থাকবে সে সুযোগ। জিতলে আবার জয়ের পথের সন্ধান মিলবে।
তাতে নিজেদের ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংটাও হবে আরও সমৃদ্ধ ও শানিত। ব্যাটাররা রানে ফিরুন, বোলাররা বল হাতে সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি কার্যকর বোলিং করুন। সেটাই প্রত্যাশা। তাতে নুয়ে পরা আত্মবিশ্বাস হবে চাঙ্গা। মিলবে আগামীতে ভাল করার রসদ।
এআরবি/আইএইচএস