‘আমি মনে করি আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি’
এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ডের দুই ম্যাচে আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। তার আগে জিম্বাবুয়ের মাঠে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারতে হয়েছে ২-১ ব্যবধানে। তারও আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কী অবস্থান, সে সব জানা আছে সবার।
বাংলাদেশ দলে একজন বিগ হিটার নেই, ভালোমানের কোনো ফিনিশার নেই, কোয়ালিটি ওপেনার নেই, এমনকি এশিয়া কাপে প্রমাণ হয়েছে কার্যকর ডেথ বোলারও নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিশ্বকাপও জিততে পারে।
তবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে- এমন কথা সরাসরি তিনি বলেননি। বিশ্বকাপ জিততে হলে কিছু প্রসেস দরকার। যে প্রসেসগুলো অনুসরণ করলে বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে হয়তো।
আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এবং নতুন আসা টেকনিক্যাল এডভাইজর শ্রীধরন শ্রীরামের মধ্যে পার্থক্য কী?
জবাবে অনেক কথার প্রসঙ্গেই তিনি বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনার কথা বলেন। সুজন বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস আমাদের অবশ্যই আছে। আমি খুব কনফিডেন্ট ছেলে সবসময়। আমি পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। পজিটিভ ছেলে আমিও। আমি জিততে চাই। আমি মনে করি যে, আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। আমি এটা মাথায় নেই।’
তবে রাস্তাটা যে সহজ নয়, সেটা পরক্ষণেই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তারপরও রাস্তাটা সহজ হবে না, কঠিন হবে হয়তো- ছয় মাস বা এক বছর। এর মধ্যে যে অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা বলবো না। কিন্তু আমাদের মানসিকতা যদি বদলায়, সেটাতে আমি খুব খুশি হবো।’
রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে শ্রীধরন শ্রীরামের পার্থক্যের কথা জানিয়ে সুজন বলেন, ‘আমি বারবার একটা কথা বলি, আলাদা মানুষের আলাদা ফিলোসোফি। হয়তো রাসেলের ফিলোসোফির সঙ্গে শ্রীরামের ফিলোসোফি পুরো আলাদা।’
তবে শ্রীধরনের কাজে-কর্মে খুব সন্তুষ্ট সুজন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এটা খুব দ্রুত হবে শ্রী-এর ব্যাপারে মন্তব্য করা। তারপরও আমি খুব খুশি, ও যেভাবে কাজ করেছে এই এশিয়া কাপে। ওর ক্রিকেটের দর্শন, যেভাবে চিন্তা করে ও যেভাবে ছেলেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায় আমি পছন্দ করেছি। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দের।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কতটা নিচে, সেটা বোঝানোর জন্য সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় হয়তো আমি মনে করি খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও এসেছি। কতটুকু মাঠে প্রয়োগ করতে পারি আমরা, সহজ হবে না, এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই ফরম্যাটে দল হিসেবে আমরা ভালো করছি না। সত্যি কথা বলতে গেলে আসলে আমরা অনেক নিচে এখনও। এর থেকে নিচে যাওয়ার জায়গা নাই।’
সুজনের বক্তব্য পরিষ্কার, এ পরিস্থিতি থেকে যত তাড়াতাড়ি ওঠা সম্ভব উঠতে হবে। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে আমরা একটাই যত তাড়াতাড়ি উপরে উঠতে পারি। সেটা কত তাড়াতাড়ি পারি, উপরে উঠবো অবশ্যই আমরা, শক্তিশালী একটা দল হবো। হয়তো সময় নেবে। আমাদের সবাইকে সেটা ধৈর্য ধরতে হবে। মেনে নিতে হবে অনেক কিছু। আমরা হারবো হয়তো, এর মধ্যে জিতবোও। সব থেকে বড় জিনিস হবে উন্নয়ন করছি কী না এই ফরম্যাটে, উন্নতি হচ্ছে কি না, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারছি কি না। যেটা আমরা চাই ছেলেদের মাথায় ছড়িয়ে দিতে আক্রমণাত্মক ও ফ্রিডম নিয়ে খেলতে চাই। যেই কথাটা সবসময় বলি, অনেকে হয়তো তাচ্ছিল্য করে। আসলে এই ফরম্যাটে দুরকম হবে না। আপনি ফ্রিডমও দেবেন, আবার বলবেন কেন তুমি আউট হলা। প্রথম বলে আউট হতেই পারে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে।’
এমনটা করতে পারলে নিউজিল্যান্ড এবয় অস্ট্রেলিয়ায় জয় পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে
এটা করতে গিয়ে হয়তো নিউজিল্যান্ড ট্যুর ও বিশ্বকাপে এক-দুইটা ম্যাচেও জিততে পারবো না। আমি মনে করি আমরা যদি ম্যাচ জিতি তাহলে খুব ভাগ্যবান। জিতবো দুই তিনটা ম্যাচ। আমাদের এখন এমন একটা অবস্থা, বলতে পারছি না...আত্মবিশ্বাস আমাদের অবশ্যই আছে।’
আমি খুব কনফিডেন্ট ছেলে সবসময়, আমি পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। পজিটিভ ছেলে আমিও। আমি জিততে চাই। আমি মনে করি যে আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। আমি এটা মাথায় নেই। তারপরও রাস্তাটা সহজ হবে না, কঠিন হবে হয়তো ছয় মাস বা এক বছর। এর মধ্যে যে অনেক বড় পরিবর্তন হয়ে যাবে সেটা বলবো না। কিন্তু আমাদের মানসিকতা যদি বদলায়, সেটাতে আমি খুব খুশি হবো।
আইএইচএস