শ্রীলঙ্কাকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো আফগানিস্তান
রহমানুল্লাহ গুরবাজ যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে দারুণ বোলিং করে আফগানদের বিশাল পুঁজি গড়তে দিলো না শ্রীলঙ্কা।
শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৭ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান। অর্থাৎ জিততে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে ১৭৬।
এবারের এশিয়া কাপে দারুণ ছন্দে আছে আফগানিস্তান। গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে উঠেছে মোহাম্মদ নাবির দল। গ্রুপপর্বে তারা একবার হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে।
ফের সেই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে ভালো সূচনা করে আফগানিস্তান। শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানরা।
প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ। লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা ও চার।
ইনিংসের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। তবে পরের ওভারে মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা।
এরপর ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ, যা কিনা আফগানিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির (২১ বলে)।
শ্রীলঙ্কাকে পেলেই যেন জ্বলে উঠেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গ্রুপপর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ বলে খেলেছিলেন ৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ২০ বছর বয়সী এই আফগান ওপেনার সুপার ফোরপর্বেও শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন।
মাঠে রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা।
সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গুরবাজকে। ৪৫ বলে গড়া তার ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার।
১৭ ওভারে দেড়শ ছোঁয় আফগানিস্তান। ১৮তম ওভারে ৩৮ বলে ৪০ করে মধুশঙ্কার শিকার হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের একটি করে চার-ছক্কায় ওভারে ঠিকই ১৩ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান।
কিন্তু শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান পায়নি আফগানরা। ১৯তম ওভারে থিকসানা আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবিকে (১) ফিরতি ক্যাচ বানান, রানআউট হন নাজিবুল্লাহ (১০ বলে ১৭)। ওই ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারে আফগানিস্তান।
২০তম ওভারেও প্রথম তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি রশিদ খান। আসিথা ফার্নান্ডোর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে শেষ বলে দুই নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান (৭ বলে ৯)।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দিলশান মধুশঙ্কা। তবে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান।
এমএমআর/জেআইএম