অতীত ব্যর্থতা জানি না, নতুন শুরু করতে চাই: শ্রীরাম
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কখনোই খুব ভালো দল হিসেবে গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম সংস্করণে কালেভদ্রে ভালো করা ছাড়া কোনো সাফল্যও নেই টাইগারদের। যে কারণে টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর আশায় কোচিং প্যানেলে খানিক রদবদল এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আসন্ন বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়মিত হেড রাসেল ডোমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কাগজে-কলমে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে আনা হয়েছে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকে। তবে বাস্তবতা হলো ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে মিলে শ্রীরামই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নেবেন।
এ দায়িত্ব নিয়ে শ্রীরাম জানালেন, আগে কী করেছে টাইগাররা সেটি তিনি মাথায় রাখেননি। সে বিষয়ে কোনো আগ্রহও নেই তার। বরং সামনের দিনগুলোতে সবাইকে একত্রিত করে নতুনভাবে শুরুর আশা টাইগারদের নতুন উপদেষ্টার। এশিয়া কাপ খেলতে আমিরাত গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন শ্রীরাম।
তার ভাষ্য, ‘আমি খোলা চোখ নিয়ে এসেছি। আমার পিছুটান নেই। যেটি (টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না) বলছেন, সেটি আসলে আমার কাছে অজানাই বলতে পারেন। আমি ওভাবে দেখছি না। খোলা চোখে দেখছি, আমার পরিকল্পনা নতুন জীবনীশক্তি আনতে চাই। দলকে একত্র করতে চাই, নতুন শুরু করতে চাই।’
অতীতে বাংলাদেশ দল কোন কোন জায়গায় ব্যর্থ হয়েছে, ভুলগুলো কী কী করেছে সেগুলো বড় করে দেখতে নারাজ শ্রীরাম। এর চেয়ে টাইগাররা যেসব কাজ ভালোভাবে করেছে সেগুলো আরও ভালো করার তাগিদ দিলেন ভারতের এ সাবেক অলরাউন্ডার। তাতেই ফল আসবে বলে বিশ্বাস তার।
শ্রীরাম বলেছেন, ‘তারা কোন বিষয় ভালো করতে পারেনি, সেটি দেখার বিষয় নয়। কী করতে পেরেছে- সেটি দেখার বিষয়। এর মাধ্যমে সেরাটা বের করে আনা। আমার নজর থাকবে স্বল্প সময়ে তাদের ওইসব শক্তিমত্তার ওপর নির্ভর করা, সেগুলো বাড়ানো। যেগুলো ভালো করিনি, সে সব এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, যদি আমরা যা ভালো করছি, সেগুলো করতে থাকি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি পরিসংখ্যান দেখেছি। বোলিংয়ের কথা বললে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে- প্রথম ৩ উইকেট নেওয়ার গড়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে আমরা অন্যতম সেরা, প্রথম ৫ উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা বিশ্বে অন্যতম সেরা। বাংলাদেশ অনেক কিছুই ঠিকঠাক করেছে এর আগে।’
এসময় বাংলাদেশ দলে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে শ্রীরাম বলেন, ‘আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার। আমার ভূমিকা হলো রিসোর্স একত্র করা। আমাদের খুব ভালো কয়েকজন স্কিল কোচ আছেন। তারা যা করেন, তার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমার কাজ মূলত অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা, এবং স্কিল কোচদের নিয়ে- তিনটি ভাগকে একত্রে আনা।’’
আইপিএল ও অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে কাজ করা এ কোচ আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এবং আইপিএলে কাজ করে পাওয়া টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৌশল একত্র করা- যাতে রিসোর্স ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি। আমি বলছি না যে আমি দলকে নেতৃত্ব দেব, আমি শুধু সহযোগিতা করছি।’
‘ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে কাজ করা- আইপিএলে ভারতীয় ছেলেদের সঙ্গে কাজ করা, অজি সেট আপে কাজ করা- পূর্ব-পশ্চিমের একটা ভালো মিশ্রণ আছে (আমার)। বাংলাদেশে এসে আমি আসলে এদের বেড়ে ওঠা, খেলার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বুঝি। একই সঙ্গে পেশাদারত্ব, প্রত্যাশার ব্যাপারটিও নিয়ে আসতে পারি। আমি মুখিয়ে আছি।’
এসএএস/জিকেএস