শ্রীরামের হাত ধরে পরিবর্তনের আশা সুজনের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২২

খেলোয়াড়ি জীবনটা খুব বেশি উজ্জ্বল নয়। সাকুল্যে ৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। ভারতের সাড়া জাগানো ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর আইপিএলেও মাত্র ৩ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে খেলা ছেড়ে কোচিংয়েই সুনাম কুড়িয়েছেন বেশি।

শ্রীধরন শ্রীরাম ভারতের নামী কোচদের তালিকায় নাম করে নিয়েছেন এরই মধ্যে। তাকে ভাবা হয় টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। তাই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এ ভারতীয়কে তিনমাসের প্রাথমিক চুক্তিতে আনা হচ্ছে ঢাকায়।

বিসিবির আশা, এ স্পেশালিস্ট কোচের হাতের ছোঁয়ায় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের চেহারাও পাল্টে যাবে। বিসিবি পরিচালক ও টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা শুনে মনে হচ্ছে, বিসিবি শ্রীরামের কাছ থেকে নতুনত্বের আশা করছেন।

আজ শনিবার দুপুরে শেরে বাংলায় টিম বাংলাদেশের প্র্যাকটিস শেষে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে টাইগারদের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীরাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘শ্রীরামকে আমি চিনি আমি ওর সাথে খেলেছি। তবে ও কোচিং কিভাবে করায় সেটা আমিও জানি না।’

তবে শ্রীরামের কাছে তার প্রত্যাশা অনেক বেশি। কারণ তার খুব ভালো জানা এ ভারতীয়ের কোচিং ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ সমৃদ্ধ। তাই সুজনের মুখে এমন প্রশংসাসূচক মন্তব্য, ‘ওর (শ্রীরামের) ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক স্ট্রং এবং সবাই ওকে নিয়ে কাজ করছে।’

শ্রীরাম আপাততঃ টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে যোগ দিচ্ছেন, এমনটা জানিয়ে সুজন বলেন, ‘শ্রীরাম আপাতত টেকনিক্যাল কনসাল্টটেন্ট হিসাবে জাতীয় দলের যোগ দিচ্ছেন এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ পর্যন্ত।’

খালেদ মাহমুদ সুজন আবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দলের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে। তার ভাষায়, শুধু পাঁচ-ছয়জনের মধ্যে হলেই চলবে না। সবার মাইন্ড সেট এক হতে হবে।’

তবে যেহেতু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়া অন্য ফরম্যাটের খেলবে না, তাই সুজনের বিশ্বাস, মাইন্ডসেটের বীজ সব ক্রিকেটারের মাঝে অঙ্কুরিত করার অবারিত সুযোগ থাকছে।

সুজন যোগ করেন, ‘দলের কার কি ভুমিকা? সেটাও পরিষ্কার এবং নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে। তবেই যার যার কাজ করা সহজ হবে।’

শ্রীরামের অন্তর্ভুক্তিতে টি-টোয়োন্ট দলের ভেতরে একটা ইতিবাচক প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে, এমনটা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন সুজন। তার ধারনা যেহেতু শ্রীরাম টি-টোয়েন্টি নিয়ে বেশি কাজ করে থাকেন , তাই তার অধীনে নতুন ও ভাল কিছুর আশা করাই যায়। এছাড়া শ্রীরাম একজন ভারতীয় হওয়ায়ও কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন- এমন আশা টাইগার টির ডিরেক্টরের।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অনেক মিল আছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে শ্রীরামের কথা-বার্তা ও যোগাযোগ রক্ষা সুবিধা হবে- এমন আশা করে খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা, ‘আমার মনে হয় যেহেতু শ্রীরাম আসবে ও যেহেতু টি-টোয়েন্টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে বা টি-টোয়েন্টিতে তার সম্পৃক্ততা বেশি, তাই সে এই বিষয় গুলো বুঝতে পারবে। তাছাড়া ভারতের সাথে আমাদের কালচারেরও একটা মিল রয়েছে। এতে করে কথাবার্তা বা যোগাযোগ আদান-প্রদানে সুবিধা হবে। সব মিলিয়ে শ্রীরাম আসার পর আশা করছি আমরা একটা পরিবর্তন পাব।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।