সাউদি-বোল্টের আগুনে পুড়ে ছাই উইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের সেঞ্চুরি
দুই ইনিংসের গল্পটা প্রায় এক। দুই ইনিংসেই শুরুতে পেসারদের তোপে লন্ডভন্ড টপঅর্ডার, পরের ব্যাটাররা মিলে দলকে নিয়ে গেলেন সম্মানজনক অবস্থানে। নিউজিল্যান্ডের স্বীকৃত ব্যাটারদের একজন রান পেয়ে খেললেন ৯৬ রানের ইনিংস, তাতেই হলো বাজিমাত, ম্যাচ জিতলো কিউইরা।
বিশ্বকাপ সুপার লিগে নিউজিল্যান্ডের উড়ন্ত যাত্রায় লাগাম টেনে ধরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল কিউইরা। ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নিলো না কেইন উইলিয়ামসনের দল, ৫০ রানের জয়ে সমতা ফেরালো সিরিজে।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২১২ রান। জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লে'র দশ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ক্যারিবীয়রা। নবম উইকেটে রেকর্ড জুটিতে ব্যবধান কমে পরাজয়ের। তবু ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
এ জয়ে পঞ্চম দল হিসেবে বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্টের সেঞ্চুরি হলো নিউজিল্যান্ডের। মাত্র ১১ ম্যাচ খেলে দশ জয়ে ১০০ পয়েন্ট হয়ে গেলো তাদের। কিউইদের আগে পয়েন্টের সেঞ্চুরি করা অন্য চার দল হলো বাংলাদেশ (১২০), ইংল্যান্ড (১২৫), আফগানিস্তান (১০০) ও পাকিস্তান (১১০)।
নিউজিল্যান্ডের দুই তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি রীতিমতো তাণ্ডব চালান ক্যারিবীয়দের টপঅর্ডারের ওপর। দুজনের শুরুর স্পেলেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে মাত্র ২৭ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান ছয় ব্যাটার। সাউদি-বোল্ট দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট।
মাত্র ২৭ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর প্রতিরোধের চেষ্টা করেন আকিল হোসেন, ক্যাসে কার্টি, ইয়ানিক কারিয়াহরা। সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে আসে আরও ৪৫ রান। তবু ৭২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায়ই ছিল স্বাগতিক দলটি। খানিক পরেই নামে বৃষ্টি, যা কমিয়ে দেয় ৯ ওভার।
ওভার নয়টি কমলেও, বৃষ্টি আইনে রান কমে মাত্র এক! অর্থাৎ ক্যারিবীয়দের সামনে ৪১ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১২ রানের। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে স্বাগতিক দর্শকদের মনে আশার সঞ্চার করেন ইয়ানিক কারিয়াহ ও আলজারি জোসেফ। মারমুখী ব্যাটিংয়ে জয়ের কিঞ্চিত সম্ভাবনাও তৈরি করেন দুজনে।
তাদের ১০.৪ ওভারের জুটিতে আসে ৮৫ রান। যা কি না নবম উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে ফিরে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে জোসেফকে বোল্ড করেন সাউদি। তাতেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব আশা। আউট হওয়ার আগে পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৩১ বলে ৪৯ রান করেন জোসেফ।
এরপর আর বেশি দূর যেতে পারেননি কারিয়াহ। মিচেল স্যান্টনারের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে কারিয়াহর ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সাউদি চারটি, বোল্ট তিনটি, স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাওয়ার প্লে'তে শুরুতে ঝরান আলজারি জোসেফ ও জেসন হোল্ডার। এ দুজনের তোপে পাওয়ার প্লে'তে মাত্র ৩১ রানে তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে ম্যাচসেরা ফিন অ্যালেনের ৯৬, ড্যারেল মিচেলের ৪১, মিচেল স্যান্টনারের ৪১ ও ট্রেন্ট বোল্টের ১৬ রানে জেতার মতো সংগ্রহ পেয়ে যায় কিউইরা।
এসএএস/এএসএম