নাইম শেখের সেঞ্চুরি, সাব্বিরের ব্যাটে রান, ফের ব্যর্থ সৌম্য
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশ করলেন বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার। তবে রানের দেখা পেয়েছেন আরেক ওপেনার নাইম শেখ ও দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা ড্যাশিং ব্যাটার সাব্বির রহমান। এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
বৃহস্পতিবার রাতে নাইম শেখের ১০৩ ও সাব্বিরের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাবে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রেজাউর রহমান রাজাদের বোলিং তোপে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ৪৪ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারীরা।
সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শুরুতেই আউট হন সৌম্য। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল কোনোরকম ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হন তিনি, করেন মাত্র ৬ রান।
সৌম্য ফিরে গেলেও দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকেন নাইম শেখ। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সাইফ আউট হন ১৯ রান করে। পরে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও নাইমের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৯৩ রান। যেখানে মিঠুনের অবদান ২৮ রান।
ইনিংসের ৩৩তম ওভারে আউট হন নাইম। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ১০৩ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি পূরণের পর মাথার ওপর দিয়ে ব্যাট ঘুরিয়ে অন্যরকম এক উদযাপন করেন নাইম। পরের ওভারেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মিঠুন। খানিক চাপেই পড়ে যায় দল।
সেখান থেকে শাহাদাত হোসেন দীপু ও সাব্বির রহমানের জুটি হয় ৬৯ রানের। দীপুর ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৮ বলে ৬২ রান করেন সাব্বির। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিক ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
পরে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৪ রান যোগ করে ফেলেন তেজনারায়ণ চন্দরপল ও জশুয়া ডা সিলভা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক জশুয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তেজনারায়ণের ব্যাট থেকে। এছাড়া ব্রায়ান চার্লস ৩২ ও টেডি বিশপ করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পক্ষে বল হাতে ৯ ওভারে ৩২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল মুগ্ধ। পুরো ১০ ওভারের স্পেলে ৪৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া রাকিবুল হাসান, সৌম্য সরকার ও খালেদ আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট।
এসএএস/এমএস