এক্স-রে রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে সোহানের এশিয়া কাপ
তাকে নিয়ে শোনা গেল দু’রকম কথা। প্রথমে শোনা গেল বাঁ-হাতের তর্জনিতে ফ্র্যাকচারের কারণে এশিয়া কাপ খেলা হবে না নুরুল হাসান সোহানের। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন একথা। তাতে সায় দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। দুজনই মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন, ইনজুরি ভাল হয়নি। তাই ওপেনার লিটন দাস আর মিডলঅর্ডার ইয়াসির আলী রাব্বির সঙ্গে এশিয়া কাপ খেলা হবে না সোহানেরও।
বিসিবি প্রধান আর প্রধান নির্বাচকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দায়িত্ববান ব্যক্তিরা যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন ধরেই নিতে হবে তারা খোঁজ-খবর নিয়েই বলেছেন। সুতরাং, ভাবা হচ্ছিল সোহান থাকছেন না এশিয়া কাপ স্কোয়াডে। অথচ, ভোজবাজির মত পাল্টে গেছে পুরো দৃশ্যপট। ১৭ জনের দলে রাখা হয়েছে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের তকমাধারি সোহানকে।
কাল শনিবার বিকেলে দল ঘোষণার সময় সোহানের নাম জানিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এখনও পুরোপুরি সুস্থ না। তবে আশা করা যাচ্ছে দল দেশ ছাড়ার আগে সোহান সুস্থ হয়ে উঠবে এবং এশিয়া কাপ খেলতে পারবে।’
যেহেতু মিডল অর্ডার ব্যাটারের পাশাপাশি তিনি উইকেটরক্ষও এবং এ মুহূর্তে দেশের ও জাতীয় দলের এক নম্বর কিপার। তার আঙ্গুলের ইনজুরিমুক্ত হওয়া খুব জরুরি। সুতরাং, এখন তার প্রকৃত অবস্থা কি? সত্যিই এশিয়া কাপ খেলতে পারবেন সোহান?
এ উইকেটরক্ষক কাম মিডল অর্ডার নিজেই দিয়েছেন, এ কৌতুহলি প্রশ্নের জবাব। আজ রোববার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে সোহান জানিয়েছেন তার সর্বশেষ অবস্থা।
তার কথা, ‘আমি চাই শতভাগ সুস্থ হয়ে খেলতে।’
তবে খেলবোই বা খেলতে চাই- এমন কথা বের হয়নি মুখ থেকে। তার আগে ‘যদি’, ‘তবে’ জুড়ে দিয়ে সোহান বলেন, ‘এখনো ফ্র্যাকচারে প্লাস্টার আছে। কাল শনিবার ড্রেসিং করার সময় ব্যান্ডেজ খুলেছিলাম। কিছু বোঝা যায়নি। তবে আগামী ২১ না হয় ২২ আগস্ট এক্সরে করা হবে। তখনই আসলে বোঝা যাবে, ফ্র্যাকচার ভাল হয়েছে কি না? এখন আমার বাঁ-হাতের ফ্র্যাকচার হওয়া তর্জনীতে তিনটি পিন আছে। এক্সরে রিপোর্ট পজিটিভ হলে ওই পিন তিনটি খোলা হবে।’
‘তখন বলা যাবে আমি খেলতে পারবো কি পারবো না। এ মুহূর্তে আমি শুধু আশাই করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে এক্সরে রিপোর্টের ওপর। এক্সরে রিপোর্ট ভাল আসলে আশা করি এশিয়া কাপ খেলা হবে।’
ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মত দলের বিপক্ষে মহাদেশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে নিজেকে মেলে ধরতে মুখিয়ে আছেন সেহান। তাই মুখে এমন কথা, ‘আশা করছি শতভাগ সুস্থ হয়েই খেলবো। যদি খেলতে পারি তাহলে নিজের সেরাটা উপহার দিতে সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করবো। দলের উপকারে আসে তা করতেও প্রাণপন চেষ্টা থাকবে। আর সময় যা ডিমান্ড করবে তা পূর্ণ করাই হবে আমার লক্ষ্য।’
এআরবি/আইএইচএস