এখনই আফিফকে কোনো উপাধি না দেই: তামিম
২০১৯ সালে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে শক্ত নার্ভের পরিচয় দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাত্র ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান আফিফ।
শুধু সেই একটি ম্যাচই নয়, এরপর আরও অনেকবার দলে কঠিন বিপদের মুহূর্তে চওড়া হয়েছে আফিফের ব্যাট। বিশেষ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে রেকর্ড ১৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান তিনি।
সেদিন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আফিফ। একই ধরনের পারফরম্যান্স করেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফরের শেষ ম্যাচেও দলের ত্রাণকর্তা (ক্রাইসিস ম্যান) হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আফিফ।
এনামুল হক বিজয় ছাড়া বাকি ব্যাটারদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের দিন ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ২৫৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আফিফ। দল জেতার পর তিনি জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। বারবার বিপদের সময় ভালো খেলায় তাকে ক্রাইসিস ম্যান নামেও ডাকছেন অনেকে।
তবে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এখনই আফিফকে কোনো উপাধি দেওয়ার পক্ষে নন। বুধবার শেষ ওয়ানডের পর ম্যাচসেরা আফিফকে সঙ্গে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তামিম। সেখানে কথার ভিড়ে ক্রাইসিস ম্যানের প্রসঙ্গও আসে।
তখন তামিম বলেন, ‘তাকে (আফিফ) কোনো উপাধি না দেই, এখনই খেতাব দেওয়া তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তার বিশেষ গুণ রয়েছে, যা খুব বেশি মানুষের নেই। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে ও যখন ব্যাটিংয়ে আসে তখন আমরা চাপে ছিলাম এবং সে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এ ধরনের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে অনেক সময় এমন হবে- একই জিনিস করতে গিয়ে আউট হয়ে যাবে। এরপর আমরা বলবো এটা কী করল? আমি চাই না সে তার গুণ হারাক। যেভাবে সে ব্যাট করতে চায় করুক, এটা দারুণ। এখনও তার ক্যারিয়ারের শুরু। আশা করি দারুণ এক ক্যারিয়ার হবে তার।’
এসময় নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে আফিফ বলেন, ‘আমি সবসময় যে পজিশনে ব্যাটিং করেছি, চেষ্টা ছিল ম্যাচটা শেষ করার। টি-টোয়েন্টিতে দুইটা ইনিংস করতে পেরেছি, আজকেও করতে পেরেছি। আমার মনে হয়, আমি যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম, তা হয়েছে।’
এসএএস/