সমস্যার কেন্দ্রে সেই উদ্বোধনী জুটি
পাওয়ার প্লেতে অনেকদিন পর রান উঠেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৬০ রান। খেলা না দেখা যে কেউ ভাবতে পারেন তাহলে হয়তো ওপেনিং জুটি ভালো হয়েছে।
নাহ! তা হয়নি। উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছে খুব জলদি, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই। মুুনিম শাহরিয়ার ফিরেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে। মাত্র ৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয় জুড়ে দেন ৫৮ রান।
পুরো ইনিংসে ওই একটিই মোটামুুটি বড় জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন ও বিজয় মোটামুটি কক্ষপথে থাকায় ৫ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার কথা সেভাবে মনেই হয়নি। কিন্তু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে আরও একবার ব্যর্থ হলো বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি।
গতবছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে উদ্বোধনী জুটি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একের পর এক ওপেনার বদল হচ্ছে। নাইম শেখ, লিটন দাস, সাইফ হাসান, এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুনিম শাহরিয়ার- কতজনকে দিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না।
ওপেনিংয়ে বারবার পরিবর্তন ঘটেছে। অফফর্মের কারণে লিটনকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজে নাইমের সাথে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুটিতে খেলানো হয়েছিল সাইফ হাসানকে। সাইফ ব্যর্থ হওয়ার পর সিরিজের শেষ ম্যাচে নাইমের সঙ্গী করা হয় শান্তকে। তাতেও কাজ হয়নি।
নাইম ধীর ব্যাটিং করে কিছু রান পেলেও বাকিরা হয়েছেন চরম ব্যর্থ। তারপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার ওপেনিং জুটিতে রদবদল। সেবার নাইম শেখের সঙ্গী করতে আনা হলো মুনিম শাহরিয়ারকে। বলা হলো মারকুটে মুনিম হাতখুলে রানের চাকা সচল রাখতে পারেন।
কিন্তু মুনিমও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে হলেন ব্যর্থ। তাই দুই ম্যাচ পর আবার পরিবর্তন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলেই জায়গা হয়নি নাইম শেখের। সেখানে মুনিমের সঙ্গে প্রথম খেলায় ইনিংসের সূচনা করলেন ৮ বছর পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়।
বলা হলো, আক্রমণাত্মক মুনিমের সঙ্গে ফ্রি স্ট্রোক মেকার এনামুল বিজয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের মানসিক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে বলা হয়েছে। যাতে করে পাওয়ার প্লেতে তারা স্বভাবসুলভ হাতখুলে খেলতে পারেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে রান না পাওয়া মুনিম শাহরিয়ারকে দ্বিতীয় ম্যাচেই বসিয়ে দেওয়া হলো।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই আবার ওপেনিংয়ে ফিরিয়ে আনা হলো লিটন দাসকে। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। লিটন-বিজয় জুটি ভাঙলো মাত্র ৮ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার সেই লিটন-মুনিমকে দিয়েই ইনিংসের সূচনা করা হলো। এবার জুটি ভাঙলো মাত্র ৫ রানে।
মুনিম শাহরিয়ার আরও একবার নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেন। আর তাই ওপেনিং জুটিটা সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু হয়েই থাকলো। এ সমস্যা নিরসন হবে কবে? কে জানে!
এআরবি/এসএএস/এমএস