ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবসময় মনে থাকবে: তাইজুল
ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৪ সালে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সে ম্যাচে করেছিলেন হ্যাটট্রিক, মাত্র ১১ রানে নিয়েছিলেন ৪টি উইকেট। তবু দীর্ঘ ৮ বছরে মোটে ৯টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তাইজুল ইসলাম। শনিবার দশম ম্যাচ খেলতে নেমেই তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শেষ ম্যাচটিতে বাড়তি স্পিনার খেলানোর পরিকল্পনায় নেওয়া হয় তাইজুলকে। যার সুবাদে দীর্ঘ ২৮ মাস পর ওয়ানডেতে ফেরা হয় তাইজুলের। আর রঙিন পোশাকে ফিরেই মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এর আগে ২০১৪ সালে তাইজুলের টেস্ট অভিষেকও হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। অভিষেক টেস্টেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এবার সে দেশেই পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেট। তাই এই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সবসময় মনে থাকবে এ বাঁহাতি স্পিনারের।
শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ম্যাচ শেষে তাইজুল বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমার টেস্ট অভিষেক, তখনও ৫ উইকেট পেয়েছিলাম। ওয়ানডেতেও এখানে এসে প্রথম ৫ উইকেট পেলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আর আসি বা না আসি, এটা সবসময় আমার মনে থাকবে।’
ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের উইকেট নিয়ে ফাইফার পূরণ হয় তাইজুলের। তখনকার উচ্ছ্বাসের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘পাঁচ উইকেট পাওয়ার অনুভূতি সবসময়ই অন্যরকম থাকে। এটা বলে বোঝানোর মত নয়। সে জন্যই হয়তো একটু লাফালাফি করেছি (হাসি)। অনেক ভালো লেগেছে।’
দেশের মাটিতে খেলা হলে টেস্ট ক্রিকেটে অন্তত নিয়মিত মুখ তাইজুল। কিন্তু দেশের বাইরে কম্বিনেশন বিবেচনায় প্রায়ই বাইরে থাকতে হয় তাকে। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই যেমন দুই টেস্টের একটিতেও সুযোগ হয়নি। একদম সফরের শেষ ম্যাচে গিয়ে পেলেন মাঠে নামার সুযোগ।
তাই ভালো খেলার বাড়তি চেষ্টা ছিল জানালেন তাইজুল, ‘এটা সত্যি, ভালো বোলিং করার ক্ষুধাটা একটু বেশি ছিল আমার। তবে আমি মনে করি এখানে উইকেটের সাহায্য ছিল। আমি চেষ্টা করেছি লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে ভালো জায়গায় বোলিং করতে। এটাই আমাকে সাহায্য করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দিন বসে ছিলাম, এটা নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই। আমাকে পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে। এখানে যেহেতু সাকিব ভাই দলে ছিলেন, নাসুমও অনেক দিন ধরে ভালো করছিল, সুযোগ পাওয়াটা কঠিন। আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব, এটাই পরিকল্পনা ছিল।’
এদিকে অধিনায়ক তামিমের ইকবালের কণ্ঠেও এ বাঁহাতি স্পিনারের প্রশংসা, ‘আমার অবশ্যই তাইজুলের নাম বলতে হবে। পুরো সফরে সে দলের সঙ্গে ছিল কিন্তু কোনো ম্যাচ পায়নি। তবু সে প্রতিটি অনুশীলন সেশনে ছিল এবং যখনই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলো, অবদান রাখলো। এসব জিনিস অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক।’
এসএএস/জেআইএম