অধিনায়ককে ‘মেরে ফেলতে চাইছেন’ ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২২

প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৯ রান করার পর তখনই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল। তবু ১১১ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের আশার পালে জোর হাওয়া হতে পারতো দ্রুত আরও দুই-একটি উইকেট।

সেই সম্ভাবনাও জেগেছিল। অধিনায়ক নিকোলাস পুরান বল হাতে নিয়েই বোল্ড করেছিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তখন ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই বলটি ছিল ফ্রন্ট ফুট নো বল।

যে কারণে দলীয় ১০৬ ও ব্যক্তিগত ২০ রানে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। আর এজন্য পুরানের ওপর নাখোশ তার সতীর্থরা। এমনকি মজার ছলে তাকে মেরেও ফেলতে চাইছেন ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররা। পুরান বলছিলেন, ‘অবশ্যই এটি (নো বল) প্রত্যাশিত নয়। আমি জানি ছেলেরা আমাকে এ জন্য মেরে ফেলবে। এটা অবশ্যই হতাশার।’

সেখানেই শেষ নয়। পুরানের পরের ওভারে আবারও আউট হতে পারতেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ২৪তম ওভারের শুরুতেই দারুণ বাঁক খাওয়া এক ডেলিভারি আঘাত হানে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে। পুরানের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।

উইকেটরক্ষক শাই হোপের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পুরান। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে উইকেটটি পেতে পারতেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। পরপর দুই ওভারে একই ভুল করায় সতীর্থরা যে মোটেও সন্তুষ্ট নয়, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তা জানিয়ে গেছেন পুরান।

তিনি বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহর হয়তো ভাগ্যটা ভালো ছিল। আমি নিজেই অবাক হয়েছিলাম। কারণ বলটা অনেক বাঁক খেয়েছিল। শাই (হোপ) বলছিল, বলটা নাকি বেশিই বাঁক খেয়েছে। আমিও তা-ই বলছিলাম। বাকিরা অবশ্য বলছিল রিভিউ নিতে। কারণ তাদের মনে হয়েছে সেটা নিশ্চিত আউট ছিল।’

পুরান আরও যোগ করেন, ‘আমি তাদের কথা শুনে অবাক হয়েছিলাম। এখন তো সবাই আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে। কোচ, ক্রিকেটার সবাই। আমার রিভিউ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ দুটি রিভিউ ছিল আমাদের হাতে। কে জানে, হয়তো রিভিউটা নিলে খেলাটা বদলে যেতে পারতো। তখনো ৩৫-৪০ রান দরকার ছিল তাদের।’

তবে হারের পেছনে মাহমুদউল্লাহর এ দুইবার বেঁচে যাওয়াকে দায়ী করতে রাজি নন পুরান। ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথাই উচ্চারণ করেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। তার মতে, স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রান জমা করতে পারলেও ম্যাচটি ভিন্ন হতে পারতো।

পুরানের ভাষ্য, ‘স্কোরবোর্ডে অবশ্যই যথেষ্ট রান তুলতে পারিনি। যদি ১৭৫ রানের মতো করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচটা কোনদিকে যেত সেটা দেখার বিষয় ছিল। পাওয়াত প্লে-তে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। স্পিনাররা উইকেট নিতে পারেনি। আমাদের খুঁজে নিতে হবে কীভাবে আমরা ওয়ানডেটা খেলব।’

প্রথম ম্যাচ হারলেও সিরিজ জিততে আত্মবিশ্বাসী পুরান, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ কয়েকটি ওয়ানডে সিরিজে হেরেছি। তবে আমার মনে হয় ১-০-তে পিছিয়ে থাকলেও এই সিরিজটা আমরা জিতবো। আমরা আগামীকাল আজকের ম্যাচটা নিয়ে ভেবে দেখবো। পরশুর জন্য ভালো পরিকল্পনা করবো এবং অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবো।’

এসএএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।