বড় সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস, জোড়া ক্যাচ মিসের হতাশা
ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরোটা ড্যারেল মিচেলেরই বলা চলে। প্রথমে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে হয়েছেন নন্দিত, পরে জোড়া ক্যাচ ছেড়ে শুনতে হয়েছে কিছু নিন্দাও। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য ভালো বিষয় হচ্ছে, মিচেলের জোড়া ক্যাচ মিসের পরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায়নি তারা।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯০ রান। ওলি পোপ ৫১ ও অ্যালেক্স লিস ৩৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এ দুজনের ক্যাচই ছেড়েছেন মিচেল। এর আগে টম ব্লান্ডেল ও ড্যারেল মিচেলের সেঞ্চুরিতে ৫৫৩ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
দিনের শেষ সেশনে ২৬ ওভার ব্যাটিং করেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই ৪ রান করা জ্যাক ক্রলিকে কট বিহাইন্ড করেন ট্রেন্ট বোল্ট। সপ্তম ওভারে সাফল্য পেতে পারতেন টিম সাউদিও। কিন্তু প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে আরেক ওপেনার অ্যালেক্স লিসের সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন মিচেল।
শুরুতেই জীবন পেয়ে আর ভুল করেননি লিস। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন পোপও। তবে দিনের খেলা শেষ হওয়ার ২৩তম ওভারে সুযোগ তৈরি করেছিলেন বোল্ট। এবার উইকেটরক্ষক ব্লান্ডেল ও মিচেলের মধ্যে থাকা বল ধরেননি দুজনের কেউই। বল মিচেলের হাত ছুঁয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। এই জুটি আর ভাঙতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
এর আগে প্রথম দিনে করা ৪ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে শনিবারের খেলা শুরু করে কিউইরা। অবিচ্ছিন্ন ১৪৯ রানের জুটিতে আরও ৮৩ রান যোগ করেন ব্লান্ডেল ও মিচেল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ১০৮ রান করে আউট হন ব্লান্ডেল। ততক্ষণে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ ২৩৬ রানের জুটি হয়ে যায় ব্লান্ডেল ও মিচেলের।
অভিষিক্ত মাইকেল ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৯১ রানের জুটি গড়েন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলতে থাকা মিচেল। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে ব্যক্তিগত ৪৯ রানে জিমি অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন ব্রেসওয়েল। পরে একার চেষ্টায় দলকে সাড়ে পাঁচশর ঘর পার করিয়ে ব্যক্তিগত ১৯০ রানে থামেন মিচেল।
ইংল্যান্ডের পক্ষে অ্যান্ডারসন নিয়েছেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া স্টুয়ার্ট ব্রড, বেন স্টোকস ও জ্যাক লিচের শিকার দুইটি করে উইকেট।
এসএএস/এমএস