সাকিবকেই অধিনায়কত্বে ফেরাবে বিসিবি?
জুয়ারিদের প্রস্তাব গোপন রাখার দায়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার আগে খেলা শেষ ম্যাচটিতে অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচ হারের মাসদেড়েক পরই এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
প্রায় তিন বছর পর আবারও দেখা দিয়েছে সাকিবকে অধিনায়কত্বে ফেরানোর সম্ভাবনা। ব্যাট হাতে ক্রমাগত ব্যর্থতার কারণে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুমিনুল হক। তার জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে সবার আগে আসছে সাকিবের নাম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে এখনও মুমিনুলের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ কিংবা নতুন অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত- কোনো বিষয়েই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে ভেতরে ভেতরে ঠিকই চলছে সাকিবকে আবারও অধিনায়কত্বে ফেরানোর আলোচনা।
এর আভাস মিললো বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটুর কথায়। তিনি পরিস্কারভাবে জানিয়েছেন, নতুন অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞ কাউকেই বেছে নেবে বিসিবি। তবে সেটি সাকিবই কি না তা জানাননি টিটু।
মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমে টিটু বলেছেন, ‘অবশ্যই, (সাকিব বিবেচনায়) কেন থাকবে না? সাকিব একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। মুমিনুলের জায়গায় অভিজ্ঞ কাউকেই দেওয়া হবে এটাই তো সিদ্ধান্ত হবে।’
এদিকে সারা শরীরের চেকআপ করিয়ে আজ দুপুরেই সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন সাকিব। প্রাথমিভাবে জানা গিয়েছিল, সিঙ্গাপুর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাবেন তিনি। কিন্তু এখন নতুন গুঞ্জন, অধিনায়কত্ব বিষয়ে আলোচনার জন্যই সাকিব যুক্তরাষ্ট্র না গিয়ে দেশে ফিরেছেন।
এ বিষয়ে টিটুর ভাষ্য, ‘সাকিব আজ দেশে চলে এসেছে মানে এই না যে, ওকেই চূড়ান্ত করা হবে। এটি হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। এটা আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যায় না। আমরা অনেক কিছু দেখে ধারণা করে নিই। সেই হিসেবে এটা মনে হচ্ছে। আসলেই তা কি না ২ তারিখ জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসানের অধীনে বিভিন্ন দফায় ১৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তিন ম্যাচে জিতেছে টাইগাররা, পরাজয় মিলেছে ১১ ম্যাচে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে নবাগত আফগানিস্তানের কাছেও হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
এসএএস/এমএস