আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসব আসলে অজুহাতের মতো শোনায়: সুজন

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ মে ২০২২

এভাবে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সিরিজ হার। অন্ততপক্ষে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে এভাবে নাকাল হতে হবে, মানতে পারছেন না জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।

ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫টি, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা। হেড কোচ ডোমিঙ্গো তো সরাসরিই বলেছেন, এমন ব্যাটিং করে জেতার আশা করা যায় না।

সুজনও মনে করছেন, ঘরের মাঠে এই হার ভালো কিছু নয়। আজ শনিবার মিরপুরে তিনি সিরিজের ফল নিয়ে বলেন, ‘অবশ্যই ভালো হয়নি। আমাদের কন্ডিশনে হার... ফলাফল যাই হোক, আমাদের প্রক্রিয়াও ভালো ছিল না। হার-জিত খেলার অংশ, হারতেই পারি। কিন্তু যেরকম কন্ডিশন ছিল বা যেরকম প্রতিপক্ষের সাথে খেলেছি, বলব না আমরা আমাদের মান অনুযায়ী খেলেছি।’

সুজন যোগ করেন, ‘ইতিবাচক দিক আছে অনেক কিছুই। তবে ফলাফলের কথা চিন্তা করলে ভালো হয়নি। ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। দুই ইনিংসে একইরকম কেন হবে?’

দুই টেস্টে দশদিন মাঠে কাটাতে হয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এই জায়গায় মানসিকতায় পিছিয়ে কি না, এমন প্রশ্নে সুজন বলেন, ‘সেরকমই বোঝা যায়। মানসিক একটা ব্যাপার থেকেই যাচ্ছে। মানসিকভাবে আমরা হয়তো সেরকম না বা এখনও মানিয়ে নিতে পারছি না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলে এগুলো ছোট অজুহাতের মত শোনা যায়। এটা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

তবে কি টেকনিক্যাল সমস্যা আছে ব্যাটারদের? সুজন একদম অস্বীকার করলেন না। তবে তার মনে হয়, মূল সমস্যাটা মানসিক। তার ভাষায়, ‘টেকনিক্যাল প্রবলেম তো কিছু না কিছু থাকেই। তার চেয়ে বেশি সমস্যা মানসিক। আমরা কোথাও আটকে আছি যেখান থেকে বের হতে পারছি না। মোমেন্টাম নষ্ট থাকে, আত্মবিশ্বাস অনেক কম থাকে। এমন কিছুও হয়তো হচ্ছে। উন্নতির সুযোগ থাকছেই।’

সর্বশেষ সিরিজে চোটের কারণে খেলতে পারেননি টেস্ট দলের নিয়মিত পারফরমার মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলামের মতো তারকা। এটা কি ভুগিয়েছে কিনা?

সুজন বলেন, ‘মূল ৩-৪ জন বোলার ছিল না, এগুলো অজুহাতের মতো। যারা খেলেছে তারা কেন পারবে না? সমস্যাটা কোথায়, এটা বের করাই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক জড়তা রয়ে গেছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। ছেলেরা কতটুক স্বীকার করবে জানি না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে মানসিক সমস্যার একটা বাধা রয়ে গেছে।’

এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।