মুশফিক-তামিমদের শেষ সময়টা চূড়ায় রাখতে চান সিডন্স
ক্যারিয়ারের শুরুতে হেড কোচ হিসেবে জেমি সিডন্সকে পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানরা। প্রায় এক দশক পর এবার ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও সিডন্সকে পেলেন বাংলাদেশ দলের এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা। তবে এবার সিডন্সের ভূমিকা ব্যাটিং কোচের।
নিজেদের চিরচেনা গুরুর অধীনে তামিম-মুশফিকদের ব্যাটও হাসতে শুরু করেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজেই যেমন তামিম হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি, মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ব্যাক টু ব্যাক শতরানের ইনিংস। সিডন্স মনে করেন, জাতীয় দলে সিনিয়ররা এখনও সেরা খেলোয়াড়।
তবে টাইগারদের ব্যাটিং কোচ এও জানেন, তামিম-মুশফিকদের ক্যারিয়ারের বেশিদিন বাকি নেই। তাই এখন তাদের ব্যাটিংয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার বদলে ছোটখাটো কিছু দিক ঠিক করার দিকেই মনোযোগী সিডন্স। সিনিয়র খেলোয়াড়দের শেষের বছরগুলো যেন চূড়ায় থাকে সেটি নিয়েই কাজ করছেন তিনি।
মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর আগে নিজের দায়িত্ব, দশ বছর আগে-পরের পার্থক্যসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সিডন্স। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, পারফরম্যান্স ও মানসিকতার দিক থেকে খুব বেশি পরিবর্তন দেখেননি তিনি। তবে পেশাদারিত্ব বেড়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের।
সিডন্স বলেছেন, ‘সত্যি করে বললে, পারফরম্যান্স ও অ্যাটিচিউডের দিক থেকে খুব বেশি পরিবর্তন দেখিনি। তবে তারা এখন অনেক বেশি পেশাদার। আমার মনে হয় সিনিয়ররা এখনও সেরা খেলোয়াড়, লিটনকে বাদ দিলে হয়তো; সে এখন সিনিয়র খেলোয়াড় হওয়ার পথে, অনেক টেস্ট খেলে ফেলেছে।’
সিনিয়রদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আমার কাজটা হলো তাদের পথ সহজ করা। তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ৩-৪ বছর অবশ্যই সেরা ফর্মে কাটানো উচিত। গ্রাফটা নিম্নমুখী হলে চলবে না। তাদের ছোটখাটো কিছু জিনিস ঠিক করা প্রয়োজন। আমরা সেগুলো নিয়েই কাজ করছি।’
তার চোখে বাংলাদেশ দলে বড় পরিবর্তনটা ঘটেছে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টে। এ বিষয়ে সিডন্স বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় বদলটা এসেছে পেস বোলারদের দিক থেকে। বাংলাদেশের এখন দুর্দান্ত কিছু পেসার রয়েছে। এটি বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলবে।’
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে যে একসঙ্গে উইকেট হারানোর প্রবণতা, তা আগের মতোই রয়ে গেছে বলে মনে করেন সিডন্স। যার উদাহরণ দেখা গেছে চলতি মিরপুর টেস্টে ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার মাধ্যমে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায়ও দুই ম্যাচে ৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা।
এ বিষয়ে সিডন্স বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের এখনও একসঙ্গে উইকেট হারানোর প্রবণতা রয়ে গেছে। এই দিকটাতে কোনো বদল আসেনি। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে। এটি অগ্রহণযোগ্য। এই ম্যাচেই যেমন অল্প রানে পাঁচ উইকেট গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এমন হয়েছে। আমাদের এটা দ্রুত বদলাতে হবে।’
সিডন্স আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় না এটা থেকে বেশি দূরে আছি। কিছু টেকনিক্যাল ও মানসিক পরিবর্তন আনলেই আমরা দ্রুত পরিবর্তন দেখতে পাবো। তবে এখন লম্বা সময় ব্যাট করার সামর্থ্যটা দুর্দান্ত। মুশফিক, লিটন, প্রথম টেস্টে তামিম... এ জিনিসগুলো তখন (২০১১ সালে) খুব একটা দেখা যেতো না। এই পরিবর্তনটা এসেছে।’
এসএএস/এমএমআর/এএসএম