শরিফুলে মুগ্ধ, এবাদত-খালেদে বিস্মিত ডোনাল্ড
শরিফুল ইসলামের বোলিং নিয়ে প্রশংসা করেছেন আগেও। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সেই যুব বিশ্বকাপ জয় থেকেই বাঁ-হাতি এই পেসারের ভক্ত বনে গেছেন অ্যালান ডোনাল্ড।
আরও একবার বললেন, ‘আমি শরিফুলকে নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত, বিশেষ করে ওয়ানডেতে। আমি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব
-১৯ বিশ্বকাপে দেখেছি। সে আসলেই দারুণ। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জেতায় তার কদর এমনিতেই বেড়ে গেছে।’
এবার এবাদত হোসেন আর খালেদ আহমেদের বোলিংয়েরও প্রশংসা করলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ। দায়িত্ব নেওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সামনে থেকে দেখেছেন ডানহাতি এই দুই পেসারকে। তাদের সামর্থ্য দেখে রীতিমত বিস্মিত ডোনাল্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই পেসার বলেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ এবাদত আর খালেদ। তাদের সামর্থ্য দেখে আমি বিস্মিত। ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য অনেক বেশি সাহস ও প্রতিজ্ঞা লাগে। আমি কখনও টেস্টে দুজন স্পিনারের সঙ্গে দুজন পেসার খেলতে দেখিনি। কিন্তু তারা নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরেছে।’
ডোনাল্ড যোগ করেন, ‘বিশেষ করে ডারবানে (টেস্ট) তারা অসাধারণ ছিল। যদি পাগলাটে আধা ঘণ্টা বাদ দেই, যেটা আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল, আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই টেস্টেই অলআউট করা দারুণ ব্যাপার। যা দেখেছি, আমি খুব খুশি। ট্রেনিংয়ে যা শিখেছে, তারা তা মাঠেও দেখাতে পেরেছে। আমি তাদের পারফরম্যান্সে খুশি।’
এবাদত-শরিফুলরা শিখতে চান, এটাই বেশি ভালো লাগে ডোনাল্ডের। তার কথা, ‘আমি খুব রোমাঞ্চিত এই কারণে যে ছেলেরা এখানে ঠিক প্রশ্নটি করে এবং শিখতে চায়। শরিফুল, এবাদত, খালেদরা জানে ফ্লাট পিচে কিভাবে বল করতে হয়। তবে এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যেহেতু বাংলাদেশ অনেক বেশি টেস্ট খেলে না, তাই ধারাবাহিকতার অভাব আছে। তবে ছেলেরা এখন পর্যন্ত ভালো করছে।’
এমএমআর/আইএইচএস