আল আমিনের ৬ উইকেট, ১১৬ রানে অলআউট চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল
আগের ম্যাচেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, না হয় আজকের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচটি হতে পারতো শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচ। অর্থ্যাৎ প্রকারান্তরে ফাইনালে রূপ নিতো এই ম্যাচটি। কিন্তু আগের ম্যাচে নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় আবাহনীকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরে ফেলে ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আজ শেষ দিন। শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলো পরিণত হয়েছে নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে। চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের কাছে যেন সবচেয়ে বেশি রিল্যাক্সের। অন্যদিকে নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে মাশরাফি-সাকিবের লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ শেষ ম্যাচেও মরিয়া।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পেসার আল আমিন হোসেনের রীতিমত তোপের মুখে পড়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
জাতীয় দলের সাবেক পেসার আল আমিন হোসেন যেন গ্রিষ্মের এই খরতাপে আরও আগুন ঝরালেন। তার বোলিং আগুনে পুড়ে ছারখার চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনআপ। ৮.৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নিলেন আল আমিন।
তার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ২ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি, ১ উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান।
শেখ জামালের হয়ে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস করেন সর্বোচ্চ ৫০ রান। প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে ওপেনার সৈকত আলি এবং ওয়ানডাউনে নামা জহুরুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান আল আমিন।
এরপর মুশফিককে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। ৪৮ বলে ২৫ রান করে আউট হন মুশফিক। ৭৫ বল খেলে ৫০ রান করা ইমরুল আউট হন রানআউটে। নুরুল হাসান সোহান করেন কেবল ১৫ রান। আর কেউ দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।
আইএইচএস/