ইতিহাস গড়লেন এনামুল বিজয়

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরের শুরু থেকেই উড়ন্ত ফর্মে রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। প্রায় প্রতি ম্যাচেই তার ব্যাট থেকে আসছে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। যার সুবাদে প্রিমিয়ার লিগের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এ তারকা।

লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার পর ডিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল সাইফ হাসানের দখলে। ২০১৮-১৯ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে ৮১৪ রান করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচে দশম রান নেওয়ার সময় এ রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এনামুল হক বিজয়।

বৃষ্টিতে ৩৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন বিজয়। চলতি আসরে বিজয়ের এটি নবম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১২ ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি ও সাত ফিফটিতে ৮৭৮ রান করে ফেলেছেন বিজয়। তার সামনে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ।

২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি ও চার ফিফটিতে ৮১৪ রান করেছিলেন ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান। একই বছর লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে তিন সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ৮০৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার নাইম শেখ।

ডিপিএলের লিস্ট 'এ' মর্যাদা প্রাপ্তির পর এক আসরে ৮০০'র বেশি রানের রেকর্ড ছিল এ দুইটিই। এবার তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ৮০০ রানের ক্লাবে ঢুকে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন বিজয়। তাও কি না মাত্র ১২ ম্যাচ খেলেই।

বিজয় ছাড়াও চলতি আসরে ৮০০ রানের সামনে দাঁড়িয়ে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের নাইম ইসলাম। তিনি ১১ ম্যাচে করেছেন ৭৮২ রান। চলতি লিগে আরও বাকি রয়েছে তিন ম্যাচ। সেই তিন ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক আসরে ১ হাজার রানের ইতিহাস গড়বেন বিজয়।

উল্লেখ্য, লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার আগে সংরক্ষিত পরিসংখ্যানে জানা যায় প্রিমিয়ার লিগের ২০০১ সালের আসরে মোহামেডানের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৯৪ গড়ে ১২২৭ রান করেছিলেন কেনিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্টিভ টিকোলো। এছাড়া গত শতকেও প্রিমিয়ার লিগে হাজার রানের নজির থাকার কথা শোনা যায়।

এসএএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।