বাটলারের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে রাজস্থানের ২১৭
আইপিএলের এবারের আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটার জস বাটলার। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচেও। যেখানে রেকর্ড সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে বিশাল সংগ্রহ এনে দিয়েছেন এ ইংলিশ তারকা।
মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে কলকাতার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে রাজস্থান। যা চলতি আসরে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২১৬ রান করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৯.৪ ওভারে ৯৭ রান যোগ করেন দেবদূত পাড্ডিকাল ও জস বাটলার। যেখানে অবদান মাত্র ১৮ বলে ২৪ রান। আইপিএলে ১৫০তম ম্যাচ খেলতে নামা সুনিল নারিন ভাঙেন এই জুটি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি আরও বাড়ান বাটলার ও সানজু স্যামসন। এ দুজন মিলে ৫.৪ ওভারে গড়েন ৬৭ রানের জুটি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে ৩ চার ও ২ ছয়ের মারে ১৯ বলে ৩৮ রান করেন রাজস্থান অধিনায়ক।
স্যামসন ফিরে গেলেও চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিতে কোনো ভুল হয়নি বাটলারের। এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এছাড়া পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন গুজরাট টাইটান্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে।
প্যাট কামিন্সের বলে আউট হওয়ার আগে বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৯ চার ও ৫ ছয়ের মারে ৬১ বলে ১০৩ রান করেন বাটলার। যার সুবাদে আইপিএলে সবশেষ সাত ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৪৯৯ রান হয় এ মারকুটে ব্যাটারের।
আইপিএল ইতিহাসে টানা সাত ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান করার নজির নেই আর কোনো ব্যাটারের। এর আগে ২০১৯ সালের আইপিএলে টানা সাত ম্যাচে ৪৯৭ রান করেছিলেন বাটলার নিজেই। এছাড়া আইপিএল ইতিহাসে মাত্র ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে এক আসরে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
বাটলার ফিরে যাওয়ার পর দলীয় সংগ্রহ বাড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন ক্যারিবীয় তারকা শিমরন হেটমায়ার। শেষ দিকে ২টি করে চার-ছয়ের মারে মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি। যা রাজস্থানকে চলতি আসরে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এনে দেয়।
রাজস্থানের এমন তাণ্ডবের দিনেও কলকাতার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন নারিন।
এসএএস/এমএস