সবাই জানে আমরা কোয়ালিটি স্পিন ভালো খেলি না: মুমিনুল
দুই টেস্টে চার ইনিংসে বাংলাদেশের ৪০ উইকেটের মধ্যে ২৯টিই নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার। এর মধ্যে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০টি করে পুরো ২০ উইকেটই নিয়েছে হার্মার-মহারাজ জুটি।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুরিভুরি বাঁহাতি স্পিনার থাকলেও, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সেই বাঁহাতি স্পিনের ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচেই চতুর্থ ইনিংসে ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন মহারাজ। দুই ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পাশাপাশি ম্যান অব দ্য সিরিজও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
ডারবানের কিংসমিডে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হওয়ার পর গেবেগার সেইন্ট জর্জেস পার্কে হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৮০ রানে। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ২২০ রানের, পরেরটিতে ৩৩২ রান!
এমন ভরাডুবিময় সিরিজের পর স্পিনের বিপক্ষে নিজেদের অসহায়ত্ব সোজাসাপটা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। ভালো মানের স্পিনের বিপক্ষে বরাবরই দুর্বল বাংলাদেশ- এমনটাই মনে করেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যাটার।
মুমিনুল বলেছেন, ‘এটা তো আগে থেকেই সবাই জানে। উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়েরে বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি না। আমাদের দুয়েক জন ছাড়া আর কেউ স্পিন খুব ভালো খেলে না। স্পিন কোন দিক দিয়ে কীভাবে খেলতে হবে সেটা হয়তো আমরাও বুঝি না। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গতিময় উইকেটে পেস বোলিংয়ের চ্যালেঞ্জ সামলানোর প্রস্তুতি নিয়েই মূলত গিয়েছিল বাংলাদেশ। বগুড়ায় গতিময় উইকেট বানিয়ে করা হয়েছিল বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বানানো স্পিনিং উইকেটে খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
উইকেটের চরিত্র মূল্যায়নে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের উইকেট আর এখানকার উইকেটের ভিন্নতা আছে। উপমহাদেশে যারা বোলিং করে তারা সাইড স্পিন করে, যেটা আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়। এখানে ওভারহেড স্পিন কার্যকর। আমাদের বোলাররা হয়তো কন্ডিশনের জন্য সাইড স্পিন করে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখানে এসে ওরা ওভারহেড স্পিন করবে তা এতো সহজ নয়। ওভারহেড স্পিনের জন্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। তখন তার আগের টেকনিকে সমস্যা হতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটের স্পিনার ও আন্তর্জাতিক স্পিনারের মানেও অনেক পার্থক্য আছে।’
এসএএস/এএসএম