ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট ইয়াসির, বিপদে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২২

মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাসের জুটিতে দিনের প্রথম সেশনটা দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনেই ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অল্প সময়ের মধ্যে লিটন ও ইয়াসিরের উইকেট তুলে নিয়ে তারা চাপে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২১৮ রান। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে ১৪৯ রানে পিছিয়ে টাইগাররা। লিটন বোল্ড হওয়ার পর ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন ইয়াসির রাব্বি। এখনও উইকেটে রয়েছেন ৯১ রান করা মাহমুদুল জয়।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই লিটন আউট হওয়ার পর সপ্তম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন জয় ও ইয়াসির। দুজনের জুটিতে ভালোই খেলছিল বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা জয় ধৈর্য্যের প্রদর্শনী করছিলেন আর ইয়াসির ছিলেন সাবলীল।

ইনিংসের ৮৯তম ওভারের প্রথম বলে অনসাইডে ঠেলে দিয়ে সহজেই এক রান নেন জয়। কিন্তু ইয়াসির ছোটেন দুই রানের জন্য। অথচ নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে শুরু থেকেই নো কল করছিলেন জয়। তা দেখেননি ইয়াসির। ফলে
ব্যক্তিগত ২২ রানে কাটা পড়েন রানআউটে।

ডারবানের কিংসমিডে আগেরদিন ৪৯ ওভার খেলে ৪ উইকেটে ৯৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ দিনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। অভিষিক্ত লিজাড উইলিয়ামসের বলে গালিতে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন উইয়ান মাল্ডার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণ করতে থাকেন লিটন দাস। অপর প্রান্তে বরাবরের মতোই আস্থাশীল ব্যাটিং করেন মাহমুদুল জয়। প্রোটিয়া পেসারদের বাউন্সারে পুল-হুক করতে দুইবার ভাবেননি লিটন আর স্পিনার আসতেই খোলস ছেড়ে বের হন জয়।

অফস্পিনার সাইমন হার্মারের করা ইনিংসের ৬০তম ওভারের প্রথম বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের ফিফটি পূরণ করেন মাহমুদুল জয়। গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা নিজের সবশেষ ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন তিনি।

সেদিন পঞ্চাশে পৌঁছতে জয় খেলেন ১৬৫ বল। সবমিলিয়ে ২২৮ বলে করেছিলেন ৭৮ রান। আজ টানা দ্বিতীয় ফিফটি করার পথে জয় খেলেন ১৭০ বল। যেখানে ছিল পাঁচটি চারের মার। ফিফটি ছোঁয়ার পর হাত খুলে খেলেন জয়। হার্মারের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে হাঁকান বিশাল এক ছয়।

অন্যদিকে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন লিটন। একের পর এক দৃষ্টিনন্দন শটে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগপর্যন্ত তিনি করেন ৯০ বলে ৪১ রান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস জয় অপরাজিত থাকেন ৮০ রান করে।

অবশ্য দুজনই জীবন পেয়েছেন একবার করে। ব্যক্তিগত ৬৪ রানের মাথায় শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান জয়। আর নিজের ৩৯ রানের সময় শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছেন লিটন। তার বিপক্ষে কট বিহাইন্ডেরও সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বাঁচেন লিটন।

আগের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। এবারও হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যান লিটন। কিন্তু দারুণ ছন্দে থাকা লিটন চল্লিশের ঘরে গিয়ে খেই হারান। লিজাডের গতিতে ইনসাইড এজ হয়ে স্ট্যাম্প খোয়ান ব্যক্তিগত ৪১ রানে, তার ৯২ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি।

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।