সাকিবের ফিফটির ফিফটি, বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ
তার এই সফরে খেলারই কথা ছিল না। সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমে পায়ের পেশিতে টান পড়তেও দেখা যায় সাকিব আল হাসানের। তবে সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে মাঠে শতভাগ দেওয়ার কাজটা ঠিকই করে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ‘ফিফটির ফিফটি’। ছক্কা হাঁকিয়েই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫০তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব। ইয়াসির রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েছেন তিনি।
৪১ বলেই যে জুটি পূরণ করে পঞ্চাশের ঘর। ৫৮ বলে ঝড়ো ৭৫ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা। সাকিব ৫০ বলে ৫৩ আর রাব্বি ৩৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন। ৩৮.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৪ রান। বোঝাই যাচ্ছে, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহের পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
দিবারাত্রির এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি টাইগারদের। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
লুঙ্গি এনগিদির করা প্রথম ওভারে কোনো ঝুঁকি নেননি তামিম ইকবাল। ফলে ওই ওভারে কোনো রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের ওভারে ২ রান নেন লিটন দাস। ফলে প্রথম ২ ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পারে সফরকারীরা।
তবে এনগিদির করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ছক্কা দিয়েই রানের খাতা খুলেন তামিম। আপার কাটে বল বাউন্ডারির ওপারে আছড়ে ফেলেন বাংলাদেশ দলপতি।
বিরূপ কন্ডিশনে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংই করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা উপমহাদেশের যে কোনো দলের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখেই এগিয়েছেন তামিম আর লিটন।
সেট হওয়ার পর হঠাৎ মারমুখী চেহারায় হাজির লিটন। তার নিজস্ব ঢংয়ের ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ১৯তম ওভারে প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মহারাজকে টানা তিন বলে ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন লিটন।
জুটিটা সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিল। এমন সময়ে হঠাৎ আন্দেলো ফেহলুখায়োর একটি ডেলিভারি ক্রস করতে গিয়ে লাইন মিস করে বসেন তামিম। বল প্যাডে আঘাত হানলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
তামিম অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ৬৭ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় তামিমের ৪১ রানের ইনিংসটি থেমেছে এলবিডব্লিউয়ে। ৯৫ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
তবে তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের যে কোনো উইকেটে জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলেন তামিম আর লিটন। তার আগে সেরা জুটিটি ছিল ২০১৭ সালে মুশফিকুর রহিম আর ইমরুল কায়েসের তৃতীয় উইকেটে ৯৩ রানের।
তামিম ফেরার পরই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন, ৬৬ বলে। তবে ৫০ ছোঁয়ার (৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়) পরের বলেই কেশভ মহারাজের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম (৯)। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে বল ভাসিয়ে দেন, হন মহারাজের দ্বিতীয় শিকার।
এমএমআর/এএসএম