জয়-এবাদত-নাসুমরা দলে কেন, ব্যাখ্যা দিলেন নান্নু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ঠিক কনফিউশন বা সংশয় বলা ঠিক হবে কি না? তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ হয়েছে। অনেকেই বলছেন, লেখাও হচ্ছে যে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৫ জনের ওয়ানডে স্কোয়াডে নতুন মুখ ৪ জন। আসলে তা নয়। প্রকৃত অর্থে নতুন মুখ ২ জন; মাহমুদুল হাসান জয় এবং এবাদত হোসেন।

কেউ কেউ ইয়াসির আলী রাব্বি আর বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়াদের তালিকায় ফেলেছেন। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হলো ইয়াসির আলী রাব্বি সেই ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে তিন-জাতি আসরে মূল দলে ছিলেন। এরপর ঘরের মাঠে একাধিক সিরিজে দলে জায়গা পেলেও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি চট্টগ্রামের ভারী শরীরের ইয়াসির আলীর। একইভাবে নাসুম আহমেদও নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন।

কাজেই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মূলত পেসার এবাদত হোসেন আর ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের অন্তর্ভূক্তি নিয়েই ব্যাখ্যা দিলেন। প্রশ্ন ছিল, ওয়ানডে স্কোয়াড নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

প্রধান নির্বাচক কথা শুরুই করেন পেসার এবাদতকে নিয়ে। তার ব্যাখ্যা, ‘এবাদত আমাদের টেস্ট বোলার। তাকে ওয়ানডের জন্য বিবেচনায় এনেছি, চিন্তা-ভাবনা করছি। এবাদত ফাস্ট বোলিং ইউনিটের সাথে যেভাবে কাজ করছে, তা দেখে আমাদের ফাস্ট বোলিং ইউনিট ইমপ্রেসড। আমরাও হ্যাপি।’

এবারের বিপিএলে এবাদতকে সাদা বলে দেখেছেন বেশ ভালো করতে। এ বিষয়টা নিয়ে নান্নু বলেন, ‘এবার সাদা বলে শর্টার ভার্সানেও দেখেছি এবাদতের কন্ট্রোল বেশ ভালো। এইজন্য তাকে বিবেচনায় আনা।’

মাহমুদুল হাসান জয়ের দলভুক্তি নিয়েও অনেক যুক্তি প্রধান নির্বাচকের। তার ভাষায়, ‘টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজে দারুণ ইনিংস খেলেছে জয় এবং আমরা আশাবাদী তার কাছ থেকে একদিনের ক্রিকেটেও ভালো কিছু পাবো। আমাদের বিশ্বাস আগামীতে আরও ভালো সার্ভিস দিতে পারবে জয়।’

বিপিএলে ওপেন করলেও নির্বাচকদের ভাবনায় জয়কে মিডল অর্ডারে খেলানোর চিন্তাও আছে। আর তাই নান্নুর মুখে এমন কথা, ‘মিডল অর্ডারেও তাকে ফিট করা যাবে বিশ্বাস আমাদের। সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লং টাইম সার্ভিস দিতে পারবে বলে মনে হয় আমাদের।’

টি-টোয়েন্টির অন্যতম সফল বোলার নাসুম আহমেদ মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে দলে ছিলেন। তাকে প্রায় এক বছর পর আবার ওয়ানডে দলে নেওয়া কেন? নান্নুর জবাব, ‘নাসুম আহমেদ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো করেছে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটেও সফল। তাই তাকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।’

আরও একটি সংযোজন আর বিয়োজন নিয়েও প্রশ্ন উঠলো। নাজমুল হোসেন শান্ত কেন নেই? কিংবা নাইম শেখের ব্যাপারে আপনাদের চিন্তা ভাবনাই বা কী?

এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘শান্ত দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে ভালো খেলছে। তাই আমরা তাকে নিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস সে ওয়ানডেতেও সার্ভিস দিতে পারবে।’

নাইম শেখ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক বুঝিয়েছেন, ফর্মহীনতার কারণেই বিবেচনায় আনা হয়নি নাইম শেখকে। তবে তাকে একদম বিবেচনার বাইরে রাখা হয়নি।

নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘কারো যখন ফর্ম খারাপ থাকে, তখন তার মধ্যে হতাশা চলে আসে। সেটা কাটিয়ে উঠে আবার ফর্মে ফিরতে কিছু সময় দরকার। আমরা সেই সময়টা দিয়েছি নাইম শেখকে।’

প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দেশে নেই। দল সাজানোর সময় কি তার সঙ্গে কথা হয়েছে? এমন প্রশ্নর জবাবে নান্নু বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই দল তৈরি হয়েছে। কোচ ও ক্যাপ্টেনের মতামত নেওয়া হয়েছে। মানে সবার সম্মতিক্রমেই দল সাজানো হয়েছে।’

এআরবি/আইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।