জাতীয় দলের ওপেনার কেন বিপিএলে আট নম্বরে?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চোখে দেশের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ওপেনার তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ৩২টি কুড়ি ওভারের ম্যাচে ওপেনিংয়েই নেমেছেন বাঁ-হাতি ব্যাটার মোহাম্মদ নাইম শেখ। কিন্তু চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজের ওপেনিং পজিশনটি একবারের জন্যও পাননি নাইম।
ওপেনিং না পেলেও শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে টপঅর্ডারেই নামার সুযোগ পেয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে রীতিমতো লোয়ার অর্ডার বানিয়ে ফেলা হয়েছে নাইমকে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সাত নম্বরে নামানোর পর আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে আটে নামানো হয়েছে নাইমকে।
অথচ মিনিস্টার ঢাকা দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আবার বাংলাদেশ জাতীয় দলেরও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক; কিন্তু সেই মাহমুদউল্লাহর অধীনেও কি না ওপেনিং দূরে থাক, টপঅর্ডারে খেলারও সুযোগ পাচ্ছেন না জাতীয় দলের নিয়মিত ওপেনার। যা বাংলাদেশ দলের জন্য নেতিবাচকই ঘটনাই বটে।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকার কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তিনি জানিয়েছেন, ‘নাইম ওপেনিং ব্যাটার হলেও ঢাকা দলে তিন নম্বর হিসেবে খেলানো হচ্ছে। তবে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণে কখনও কখনও নিচে নেমে যাচ্ছে নাইমের ব্যাটিং পজিশন।’
বাবুল বলেছেন, ‘অবশ্যই নাঈম ওপেনিং ব্যাটসম্যান। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপে বিষয়টা এ রকম থাকে যে তামিম এবং শাহজাদ করবে শুরু। জিনিসটা আসলে বাঁহাতি-ডানহাতির কম্বিনেশনের একটা ব্যাপার। এখন তামিম ভালো খেলছে, আমাদের একটা প্ল্যান থাকে যে তামিম দ্রুত আউট হয়ে গেলে নাইম যাবে। নাইম আমাদের তিন নম্বর স্লটেই থাকে।'
ঢাকার কোচ আরও জানান, ‘তামিম-শাহজাদের উদ্বোধনী জুটিটা ভালো এবং লম্বা হলে দ্রুত রান তোলার জন্যও বদলানো হয় ব্যাটিং লাইনআপ। যারা তুলনামূলক মেরে খেলতে পারেন, তাদেরকে নাইমের আগে পাঠানো হয় বলেই জাতীয় দলের ওপেনারের ব্যাটিং পজিশন নিচে চলে যায়।’
তার ভাষ্য, ‘যখন ওরা (তামিম-শাহজাদ) ভালো খেলতে থাকে, ইনিংসটা যখন শেষের দিকে যেতে থাকে, তখন হয়তো স্কোরবোর্ডের গতি বাড়ানোর জন্য আমাদের তেমন ব্যাটার আছে যারা ওভারে ১০-১২ করে নেওয়ার সামর্থ্য রাখে। পাশাপাশি বাঁহাতি-ডানহাতির ব্যাপার থাকে, সে জন্য হয়তো নাইমের ব্যাটিং অর্ডারটা ওখানে চলে যাচ্ছ।'
এসএএস/আইএইচএস/