রিয়াদের ব্যাটে ঝড়, কুমিল্লাকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিলো ঢাকা
ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শেষে ঝড় তুললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই অভিজ্ঞ তারকার ব্যাটে ভর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লাকে করতে হবে ১৮২ রান।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনেই নিজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংটাই করেছেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অপরাজিত ইনিংসে মাত্র ৪১ বলে করেছেন ৭০ রান। যেখানে ছিল ৩ চার ২ ৪টি ছক্কার মার। তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৫ রানের কার্যকরী ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশানুরূপ ছিল না ঢাকার। দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। মোস্তাফিজুর রহমানের ফুল লেন্থের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৫ বলে ৬ রান করা শাহজাদ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তামিম ইকবাল ও ইমরানউজ্জামান।
সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচটিতেই বিপিএল অভিষেক হয়েছিল ইমরানের। তবে কোনো বল খেলার সুযোগ পাননি। আজ নিজের মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই সুইপ করে পাওয়া চারে রানের খাতা খোলেন তিনি। পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন তিনি। তবে শহিদুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ছেড়ে দেন লিটন দাস।
সেই ওভারেই একটি করে চার ও ছয় হাঁকান তামিম। নাহিদুল ইসলামের করা পরের ওভারে নিজের দ্বিতীয় বাউন্ডারি মারেন ইমরান। করিম জানাতকে ছক্কায় ভাসিয়ে ১২ রান তুলে নেওয়ার মাধ্যমে পাওয়ার প্লে শেষ করেন ঢাকার তারকা ওপেনার তামিম। প্রথম ছয় ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৭ রান।
নির্বিঘ্নে পাওয়ার প্লে শেষ করলেও জানাতের করা অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে সোজা আসা এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান ১৫ রান করা ইমরান। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩.৩ ওভারে ৩০ রান যোগ করেন তামিম। মনে হচ্ছিল, আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি পেয়ে যাবেন তিনি।
কিন্তু ১১তম ওভারে তানভির ইসলামের বলে ক্রস ব্যাটে খেলে শর্ট মিড উইকেট ফিল্ডারের ধরা পড়ে যান তামিম। আউট হওয়ার আগে ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৪৫ রান করেন আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা তামিম। এরপর বেশি কিছু করতে পারেননি শুভাগত হোম (৮ বলে ৯), আন্দ্রে রাসেল (৭ বলে ১১) ও নাইম শেখরা (৯ বলে ১০)।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ খেলেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি পূরণের পর শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৭০ রান নিয়ে। করিম জানাতের করা শেষ ওভারে হাঁকান দুইটি ছক্কা। সেই ওভার থেকে আসে ২০ রান। ঢাকার ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৮১ রানে।
এসএএস/জেআইএম