রিয়াদ-তামিম রান পেলেও করুণ অবস্থা জাতীয় দলের তরুণ ব্যাটারদের
‘মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক বরাবরই বিপিএলে ভালো খেলে। এবারও ভালো করবে। তাদের সেই সামর্থ্য আছে। কাজেই পঞ্চপান্ডবদের নিয়ে নতুন করে কিছু বলতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভালো করবেই’- কথাগুলো খালেদ মাহমুদ সুজনের।
বিপিএল শুরুর আগে জাগো নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে এমনটাই জানিয়েছিলেন ফরচুন বরিশাল কোচ। পাশাপাশি তার প্রত্যাশা ছিল, ব্যাট হাতে এবারের বিপিএল মাতাবেন তার দল মানে বরিশালের নাজমুল হোসেন শান্ত আর কুমিল্লার লিটন দাস।
প্রায় একইরকম কথা বলেছিলেন মিনিস্টার ঢাকা কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তিনিও বলেছিলেন, তামিম আর রিয়াদের ভালো খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। এছাড়া তরুণদের মধ্যে লিটন দাস আর শান্ত জ্বলে উঠবে।
অনুমান-ধারণা যাই বলা হোক না কেন, দুই কোচের কথাই ঠিক। পরিণত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমার মানে রিয়াদ-তামিম ঠিকই রান করেছেন। তবে তরুণদের অবস্থা হ-য-ব-র-ল।
লিটন দাসের কথা বাদ দেওয়া যায়। ঢাকাপর্বে তিনি মাঠেই নামেননি। তবে শান্ত, নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম পাটোয়ারী আর নুরুল হাসান সোহানরা সুযোগ পেয়েও ভালো কিছু করে দেখাতে পারেননি। অন্ধকারেই থেকে গেছেন তারা।
ঢাকায় হয়ে যাওয়া প্রথমপর্বে সবচেয়ে বেশি রান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। মিনিস্টার ঢাকা অধিনায়ক ৪ ম্যাচে করেছেন ১২৪। সর্বোচ্চ ৪৭।গড় ৩১.০০। স্ট্রাইকরেট ১২৬.৫৩।
দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোরার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল। তার সংগ্রহ ৩ ম্যাচে ১১২ রান। গড় ৫৬। স্ট্রাইকরেট ১৮৯.৮৩।
এছাড়া প্রথম দুই ম্যাচে টানা ফিফটি করা ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল আছেন রান তোলায় তিন নম্বরে। ৪ ম্যাচে তার নামের পাশে ১০৫ রান। গড় ২৬.২৫। সর্বোচ্চ ৫২। স্ট্রাইকরেট ১১১.৭০।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আরেক ইংলিশ রিক্রুট উইলি জ্যাক্স ৩ ম্যাচে ৭৪ রান করে আছেন চার নম্বরে। ঢাকার অলরাউন্ডার শুভাগত হোম ৪ ম্যাচে ৭২ রান করে পঞ্চম। সাব্বির রহমান ৩ ম্যাচে ৬৯ রান করে ষষ্ঠ অবস্থানে।
এছাড়া খুলনা টাইগার্সের রনি তালুকদার ২ ম্যাচে ৬৮ রান করে সপ্তম, চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ৩ ম্যাচে ৬৪ করে অষ্টম, খুলনার আন্দ্রে ফ্লেচার ২ ম্যাচে ৬১ রান নিয়ে নবম এবং ঢাকার আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ৪ ম্যাচে ৬১ রান করে ব্যাটারদের মধ্যে ১০ নম্বরে।
এর বাইরে বরিশাল ওপেনার সৈকত আলি ৩ ম্যাচে ৫৪, ইয়াসির আলি রাব্বি ২ ম্যাচে ৫৩, ঢাকার ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে রাসেল ৪ ম্যাচে ৫০ রান করেছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিপিএল অভিষেকে ৪৮ রান করে নজর কেড়েছেন কুমিল্লার তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তবে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যে সব তরুণ জাতীয় দলে নাম লিখিয়েছেন, তারা প্রায় সবাই ব্যর্থ।
নাইম শেখ ৪ ম্যাচে করেছেন ৩২ রান, সর্বোচ্চ ১৫ (৩০ বলে)। নাজমুল হোসেন শান্তর উইলো থেকে ৩ ম্যাচে এসেছে ৪২। সর্বোচ্চ ৩৬। আফিফ হোসেন ৩ ম্যাচে ৩৩। সর্বোচ্চ ১৫।
শামীম পাটোয়ারী ৩ ম্যাচে ২৪ (সর্বোচ্চ ১৪) এবং নুরুল হাসান সোহান ২ ম্যাচে করেছেন ১৮ (সর্বোচ্চ ১৭) রান। এছাড়া বিসিএলে নজর কাড়া তৌহিদ হ্রদয় (৩ ম্যাচে করেছেন মোটে ৩৫)।
তরুণদের পাশাপাশি রানে নেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়কের ২ ম্যাচে সংগ্রহ মোটে ১৭। সর্বোচ্চ ১১। মুশফিক অবশ্য একা নন। বিশ্বনন্দিত টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাকিব আল হাসানের ব্যাটও ঢাকা পর্বে কথা বলেনি। ৩ ম্যাচে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের রান মাত্র ৩৭। সর্বোচ্চ ২৩।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম