অভিষেকে জয়ের ঝলক, সাকিবদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিলো কুমিল্লা
শুরুতে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং করলেন বিপিএলে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়, শেষে ঝড় তুললেন আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত। এ দুজনের কল্যাণে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা জয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। করিম জানাত খেলেছেন ১৬ বলে ২৯ রানের ফিনিশিং ইনিংস। বরিশালের পক্ষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ২ উইকেট, ডোয়াইন ব্রাভোর শিকার ৩ ব্যাটার।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অলিখিত নিয়ম ভেঙে বাঁহাতি ব্যাটার ক্যামেরন ডেলপোর্টের বিপক্ষে বোলিং শুরু করেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান। তার প্রথম ওভার থেকে মাত্র ১ রান নিতে পারে কুমিল্লা। তবে নাইম হাসানের করা দ্বিতীয় ওভারে একটি ছয় ও দুই চার হাঁকিয়ে নিজের আগমনী বার্তা দেন বিপিএলে অভিষিক্ত মাহমুদুল জয়।
দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়েই বিপিএলে নিজের রানের খাতা খোলেন জয়। সাকিবের করা পরের ওভারে তিন বাউন্ডারি হাঁকান ডেলপোর্ট। তবে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে চার মেরে পরের বলেই স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন এ বাঁহাতি ওপেনার। চারটি চারের মারে ১৩ বলে ১৯ রান করা ডেলপোর্টের উইকেটটি নেন নাইম।
এরপর হতাশ করেন কুমিল্লার তারকা ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসিস। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে সাকিবের প্রথম শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করেন ডু প্লেসিস, খেলেন ১১ বল। ডু প্লেসিকে আউট করে নাজমুল ইসলাম অপুর মতো পুষ্পা উদযাপন করেন বরিশাল অধিনায়ক। পরে পুষ্পার অনুকরণ করেন ব্রাভোও।
পাওয়ার প্লে'র মধ্যে দুই উইকেট হারানোর পর কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। দারুণ দুইটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্রাভোর বাউন্সারে ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে করতে পারেননি তিনি, ধরা পড়ে যান উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৫ রান।
চার নম্বরে নামা মুমিনুল হককে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন অভিষিক্ত ওপেনার মাহমুদুল জয়। তাইজুল ইসলামের বোলিংয়ে জোড়া বাউন্ডারি, জিয়াউর রহমানকে একটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন এ তরুণ। কিন্তু ইনিংসের ১৬তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে কাঁটা পড়ে যান তিনি।
বরিশালের বাঁহাতি চায়নাম্যান জ্যাক লিন্টটের অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের ডেলিভারি তাড়া করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো ক্রিস গেইলের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৮ রান করা জয়। পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মিডলঅর্ডার মুমিনুল হক আউট হন ২৩ বল থেকে মাত্র ১৭ রান করে। সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
কুমিল্লার ইনিংসের পরের গল্পটা পুরোপুরি আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাতের। সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন তিনি। এরপর জিয়া ও ব্রাভোকেও হাঁকান একটি করে ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৯ রান নিয়ে। যা কুমিল্লাকে পাইয়ে দেয় ১৫৮ রানের সংগ্রহ।
বরিশালের পক্ষে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন ব্রাভো, সাকিব ২৫ রানে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া নাইম ও লিন্টনের শিকার ১টি করে উইকেট।
এসএএস/আইএইচএস