অফস্পিন, লেগস্পিন ও মিডিয়াম পেসে উদ্বোধনী ম্যাচের ‘বিজ্ঞাপন’ বেনি

শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ
শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ , স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২২

এমনিতে লেট মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন বেনি হাওয়েল। ব্যাটিং-বোলিং মিলে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে কার্যকরী এক অলরাউন্ডার তিনি। তবে মিডিয়াম পেসের সঙ্গে যে অফস্পিন-লেগস্পিন দুটিই পারেন, সেটি দেখালেন এবার বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল। তবে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে সব্যসাচী রুপেই হাজির হয়েছেন মিরাজের দলের অলরাউন্ডার বেনি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে যেখানে ১০০ পেরোতেই কষ্ট হচ্ছিল চট্টগ্রামের, সেখানে বেনির ঝড়েই ১২৫ রানের মান রক্ষা করা সংগ্রহ পায় তারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষে দলীয় ৬৩ রানের মাথায় ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন বেনি।

Benny Hawel

সেখান থেকে শেষ ৬ ওভারেই আরও ৬২ রান পায় চট্টগ্রাম। যার পুরো কৃতিত্ব বেনির। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে মাত্র ২০ বলে তিনটি করে চার-ছয়ের মারে ৪১ রান করেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে আলঝারি জোসেফকে দুই চার ও এক ছয়ের মারে নিয়ে নেন ১৮ রান।

বেনির ভেলকি এখানেই শেষ নয়। বলা ভালো, প্রথম ইনিংসে ছিলো তার ভেলকির অর্ধেক। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিংয়ে নেমে বরিশালের জন্য রীতিমতো সারপ্রাইজ হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে তাকে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এনেছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মিরাজ। সেই ওভারে মিডিয়াম পেস বোলিং করে এক ছক্কাসহ ১১ রান খরচ করেন বেনি।

পরে দ্বিতীয় ওভারের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয় ১৩তম ওভার পর্যন্ত। তখন উইকেটে ছিলেন বাঁহাতি ইরফান শুক্কুর ও ডানহাতি সৈকত আলি। সেই ওভারের শুরুতে স্ট্রাইকে ছিলেন শুক্কুর। বাঁহাতিকে ব্যাটিংয়ে দেখে রাউন্ড দ্য উইকেটে গিয়ে অফস্পিন করতে শুরু করেন বেনি। দ্বিতীয় বলে ইনসাইড এজে সৌভাগ্যজনক চার পেয়ে যান শুক্কুর। পরের বলে এক রান দিয়ে স্ট্রাইক দেন সৈকতকে।

ব্যাটার বদলাতেই বদলে যায় বেনির বোলিং। এবার ওভার দ্য উইকেটে গিয়ে আগের ওভারের মতো মিডিয়াম পেস করেন বাকি তিন বল। সেই ওভার থেকে আসে ৮ রান। মিডিয়াম পেস ও অফস্পিন করার পর নিজের লেগস্পিন সামর্থ্যটাও দেখান বেনি। তবে ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় শেষ।

বরিশালের জয়ের জন্য যখন ১২ বলে প্রয়োজন ৩ রান, তখন বেনিকে নিজের শেষ ওভারে ডাকেন মিরাজ। এবার অফস্পিন, মিডিয়াম পেস বাদ দিয়ে পুরোদস্তুর লেগস্পিনার বনে যান বেনি। কয়েক পা দৌড়ে লেগস্পিন করেন ওভারের চার বল। যেখানে প্রথম দুই বল ছিল ডট, তৃতীয়টি হয় ওয়াইড। পরের দুই বলে এক রান করে নিয়ে ম্যাচ জিতে যায় বরিশাল।

ম্যাচ জিততে না পারলেও, দুর্দান্ত বোলিংয়ে যেমন সবার নজর কেড়েছেন মিরাজ; তেমনি ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর সব্যসাচী বোলিংয়েও নিজেকে আলাদা করে রাখলেন বেনি। আসরের প্রথম ম্যাচেই বেনির এমন অলরাউন্ড প্রদর্শনী নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য আশা জোগাবে চট্টগ্রাম শিবিরে।

এসএএস/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।