২ বছর আগেই অভিষেক হওয়া উচিৎ ছিল ইয়াসির আলীর: আশরাফুল
ইয়াসির আলী রাব্বি নিজেকে খানিক দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের প্রথমবার ব্যাট হাতে ৪ রানে ফিরে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসেই নিজেকে মেলে ধরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন; কিন্তু দূর্ভাগ্য, বেশ আস্থা ও ধৈর্য্যর সঙ্গে খেলে ৩৬ রান করার পর মাথায় বলের আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয় হাসপাতালে।
যে কারণে আর ব্যাটিং করা হয়নি। তারপর ঢাকায় শেষ টেস্টে আর দলেই জায়গা পাননি। এবার নিউজিল্যান্ডে গিয়ে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থেকে ২৬ রান করেছেন।
আর ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে চরম বিপদে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে পঞ্চাশে পা রেখেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। বাংলাদেশের ১২৬‘র মধ্যে চট্টলার এ ভারী শরীরের তরুণের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ৫৫ রান। মাত্র তিন টেস্ট খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি এর ভেতরেই অনেকের নজর কেড়েছেন।
অনেকেই তার ধৈর্য্য ও টেম্পার্মেন্টের প্রশংসা করছেন। তাকে মিডল অর্ডারে আগামীর নির্ভরতাও ভাবছেন কেউ কেউ। তরুণ ইয়াসির আলী রাব্বির সবচেয়ে বড় গুণমুগ্ধ মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, ইয়াসির আলী রাব্বি ‘আনলাকি।’
আরও দেড় থেকে দুই বছর আগেই তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া উচিৎ ছিল। ইয়াসির আলী রাব্বিকে তিন ফরম্যাটের জন্য সমান উপযোগী প্লেয়ার, পারফরমার আখ্যা দিয়ে আশরাফুল বলে ওঠেন, ‘ৎইয়াসিরের ডিফেন্স খারাপ না। হাতে শটস আছে বেশ। মোটকথা, জাতীয় দলকে সার্ভিস দেয়ার পর্যাপ্ত সামর্থ্য আছে এ তরুণের। সঠিক সময় জাতীয় দলে সুযোগ পেলে এতদিনে সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যেত।’
আশরাফুল যোগ করেন, সত্যিই ইয়াসির আলী রাব্বি কোয়ালিটি প্লেয়ার। অসাধারণ পারফরমার। বাট বিট আনলাকি। আরও আগেই তার জাতীয় দলের হয়ে খেলা উচিৎ ছিল।’
সোহানের ব্যাটিংটা খুব ভালভাবে দেখা হয়নি। তবে আউট হওয়ার আগে কয়েকটা বল দেখেছেন। তা দেখে আশরাফুলের মনে হয় যে, তার আগে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলে চল্লিশের ঘরে পৌঁছে হয়ত ওভার কনফিডেন্ট ছিল সোহান। আউট হওয়ার আগের তিনটি বলেই খুব সফট খেলছিল এবং শেষ পর্যন্ত সফট খেলেই বলটা মিস করেছে। ব্যাটে আনতে পারেনি।
এআরবি/আইএইচএস