উদ্বোধনী ম্যাচেই ভরাডুবি, ম্যাক্সওয়েলদের লজ্জার রেকর্ড
মাত্র ৪৭ রানেই পতন ঘটেছিল নবম উইকেটের। তখনও চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বিগ ব্যাশ ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার আশঙ্কা। ব্রডি কাউচ ও সৈয়দ ফরিদুনের ১৫ বলের শেষ উইকেট জুটিতে সেই লজ্জা এড়িয়ে যায় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দল।
কিন্তু বিগ ব্যাশ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে হারের লজ্জা থেকে মুক্তি পায়নি মেলবোর্ন স্টারস। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিডনি সিক্সার্সের কাছে ১৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন ম্যাক্সওয়েলরা।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে মেলবোর্ন স্টারসের বোলারদের তুলোধুনো করে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সিডনি সিক্সার্স। জবাবে বোলারদের পর ব্যাটারদেরও ভয়াবহ ব্যর্থতায় ১১.১ ওভারে মাত্র ৬১ রানে অলআউট হয়ে গেছে মেলবোর্নের দলটি।
বিগ ব্যাশে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার প্রথম দুইটি রেকর্ড মেলবোর্ন রেনেগেডসের। ২০১৫ সালে মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে ৫৭ ও ২০২০ সালে সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তারা থামে ৬০ রানে। এবার সেই সিক্সার্সের বিপক্ষেই তৃতীয় সর্বনিম্ন ৬১ রানের লজ্জায় পুড়লো ম্যাক্সওয়েলের দল।
অন্যদিকে স্টারসের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রেনেগেডসকে আরেকটি লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। ২০২০ সালের আসরে রেনেগেডসকে ১৪৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল সিক্সার্স। এবার সেই রেকর্ড নতুন করে লিখে তারা স্টারসকে হারালো ১৫২ রানে।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করা সিক্সার্সকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার পুরো কৃতিত্ব টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারের। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক জশ ফিলিপ আট চার, তিন ছয়ের মারে মাত্র ৪৭ বলে করেন ৮৩ রান। পরে দুইটি ক্যাচ নিয়ে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
এছাড়া আরেক ওপেনার জেমস ভিনস ছয় চারের মারে ২৯ বলে ৪৪ ও অধিনায়ক ময়সেস হেনরিকসের ব্যাট থেকে আসে ফিলিপসের মতো আট চার, তিন ছয়ে ৩৮ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। যার সুবাদে বিগ ব্যাশের নিজেদের সর্বোচ্চ ২১৩ রানে পৌঁছায় সিক্সার্সের সংগ্রহ। স্টারসের পক্ষে ব্রডি কাউচ নেন দুইটি উইকেট।
পরে স্টারসের ব্যাটিং ইনিংসে তাণ্ডব চালান সিক্সার্সের দুই বোলার স্টিভ ও'কিফ এবং শন অ্যাবট। চার ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন ও'কিফ, অ্যাবটের শিকার ১৪ রানে ৩ উইকেট। সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার পিটার নেভিল।
এসএএস/জেআইএম