বায়ো বাবল ভেঙে পায়ে দর্শকের চুমু, কী হবে মোস্তাফিজের?
মাঠের খেলায় পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হারের পর আজ (শনিবার) দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান আরও বড়, ৮ উইকেটে। স্বাগতিকদের এমন পরাজয়ের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এক দর্শকের মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর থেকেই সবধরনের খেলা হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। চলতি সিরিজটিও তাই। কিন্তু এর মাঝে দর্শক মাঠে ঢুকে মোস্তাফিজের পায়ে লুটিয়ে পড়ার নিশ্চিতভাবেই ভেঙেছে জৈব সুরক্ষা বলয়। এখন মোস্তাফিজের কী হবে? তা পরিষ্কার জানাতে পারেননি বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী।
পাকিস্তানের ইনিংসে তখন শেষ হয়েছে ১৩তম ওভারে। পরের ওভারটি করার জন্য বোলিং মার্কের কাছাকাছি যাচ্ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তখনই দেখা যায় নর্দার্ন গ্যালারির প্রায় ১২ ফুট উঁচু নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছেন এক দর্শক। তাকে থামাতে ছুটে যান পাঁচ-ছয় জয় মাঠকর্মী।
কিন্তু একরকম ফুটবল স্কিল দেখিয়ে তাদের কাটিয়ে বিলবোর্ড লাফিয়ে সরাসরি মাঠেই ঢুকে পড়েন সেই দর্শক। তাকে ঢুকতে দেখে খেলোয়াড়রা সবাই চলে যান মাঝ মাঠের দিকে। খানিক এগিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। নাছোড়বান্দা সেই দর্শক মোস্তাফিজের সামনে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন তার পায়ে।
ততক্ষণে মাঠে আসেন নিরাপত্তাকর্মীরা। সেই দর্শককে টানতে টানতে কিউরেটরের কক্ষের পাশের গেট দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রায় ৭-৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা। কিন্তু ১৪তম ওভারের এক বল করে মাঠ ছেড়ে চলে যান মোস্তাফিজ। তার ওভারের বাকি বলগুলো করেন শরিফুল ইসলাম।
ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসকের সঙ্গে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরের একজন ব্যক্তি মোস্তাফিজের এতোটা কাছাকাছি সংস্পর্শে আসার পর এখন পরবর্তী ব্যবস্থাটা কী হবে? সরাসরি উত্তর দিতে পারেননি দেবাশিষ। তবে জানিয়েছেন, পুরো দলেরই করোনা পরীক্ষা করানো হবে।
দেবাশিষ বলেছেন, ‘এখানে করোনা প্রটোকল অফিসার রয়েছেন। আইসিসির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও আছেন। ম্যাচ রেফারিও ইনভলবড হতে পারেন। কাজেই এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।'
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে এটুকু বলতে পারি, শুধু মোস্তাফিজ নয়, আমরা পুরো বাংলাদেশ দলকেই কোভিড টেস্ট করাবো। আমাদের অবস্থান থেকে এটুকুই শুধু বলতে পারি সবার আবার নতুন করে কোভিড টেস্ট হবে। তারপর অবস্থা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা।'
এআরবি/এসএএস/আইএইচএস/