বাশারও বলছেন ‘ঘরের মাঠে ভালো উইকেট বানাতে হবে’
ঘরের মাঠে পরপর দুই সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে উঠিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু বিশ্ব মঞ্চে গিয়ে মুদ্রার উল্টো পিঠটাই দেখতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে। সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
আর তাতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতাই নজরে এসেছে দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের। অবশ্য ব্যাটারদের এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার টোটকাও দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের এই সাবেক অধিনায়ক।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্লো-লো উইকেট বানিয়ে সাফল্য পেলেও, বাশারের মতে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ভালো করার জন্য ঘরের মাঠে ভালো উইকেট বানানোর বিকল্প নেই। যেখানে নির্দ্বিধায় সাহসী শট খেলতে পারবেন ব্যাটাররা এবং দ্রুত রান তোলার চর্চাটা থাকবে তাদের।
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার উপায় বাতলে দিয়ে বাশারের বক্তব্য, ‘যদি আমরা এই সংস্করণে ভালো করতে চাই, তাহলে ঘরের মাঠে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানাতে হবে। আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে একই উইকেট বারবার ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই উইকেট ভালো থাকছে না। আমরা পাওয়ার হিটার পাচ্ছি না। সেজন্য টুর্নামেন্টগুলোতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট বানাতে হবে।’
চলতি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিলে পাওয়ারপ্লে ও ডেথ ওভার- দুটো জায়গাতেই বাংলাদেশকে বেশ ভুগতে হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ করেছিল ২ উইকেটে ২৯ রান এবং শেষ পাঁচ ওভারে এসেছিল মোটে ৪০ রান।
এই সংখ্যাগুলো ইংল্যান্ড (২৭/৩ ও ৩৪), শ্রীলঙ্কা (৪১/১ ও ৪২), ওমান (২৯/২ ও ৩৩) এবং স্কটল্যান্ড (২৫/২ ও ৪২)- সবার বিপক্ষে প্রায় একই। এ বিষয়ে বাশারের বক্তব্য, ‘সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার জায়গা হচ্ছে ব্যাটিং। শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বাদ দিলে ব্যাটাররা আশানুরূপ স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছে। বড় টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে পাওয়ার প্লেতে ভালো ব্যাটিংটা জরুরি, আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
বাশার আরও যোগ করেন, ‘শেষের দিকে পাওয়ার হিটিংয়ে আমরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছি এবং লোয়ার অর্ডারে ভালো পাওয়ার হিটার দরকার। ডেথ ওভারে ওভারপ্রতি ১০ থেকে ১২ রান করে তুলতে পাওয়ার হিটিংয়ে জোর দিতে হবে।’
এসএএস/এমএস