মুশফিক আয়নায় নিজের মুখটা উল্টোই দেখেন!
কথায় বলে ‘হুজুগে বাঙালি’ কিংবা ‘বাঙালি হুজুগে নাচে’। আসলে বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজ-সরলও বটে। যে কারণে, কেউ তাদের আশার বাণী শোনালে আগ-পিছ কিছু যাছাই না করেই সেই ‘আশা’ নিয়ে নাচতে থাকে। লাভের সন্ধান থাকলে তো হুমড়ি খেয়েও পড়ে।
সম্প্রতি বের হয়ে এসেছে, ই-কমার্স খাতে কতিপয় ধুরন্ধর ব্যক্তির প্রলোভনের শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের হাজার হাজার কিংবা লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। নিজের সর্বস্ব দিয়ে তারা সেই হুজুগের পেছনে দৌড়েছেন। কিন্তু আখেরে লাভের গুড় খাওয়া তো দূরে থাক, চোখেও দেখেনি তারা।
ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, রিং-আইডি, কিউকম, এহসান গ্রুপসহ আরও বেশকিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মানুষকে মিথ্যা আশার বাণী শুনিয়েছিল। মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য কিছু ব্যক্তিকে প্রদর্শিত প্রলোভনের কিছু পাইয়ে দিতেও দেখা গেছে, যে কারণে উইপোকার মতো নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও আগুনে ঝাঁপ দিতে কুণ্ঠিত হননি আবেগপ্রবণ বাংলাদেশের মানুষ। এহসান গ্রুপ মানুষের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণা করেছে ১৭ হাজার কোটি টাকার। ভাবা যায়!
এতো গেলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে হুজুগে বাঙালি কীভাবে মেতে ওঠে তার নমুনা মাত্র। প্রতারকরা জানেন, কোনো না কোনোভাবে একটু আস্থা অর্জন এবং পরে একের পর এক লোভনীয় অফার করতে থাকলেই দলে দলে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই অফার লুফে নিতে।
বাংলাদেশের মানুষের এই সহজ-সরলতার সুযোগ নিয়ে, তাদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কত সেক্টরই না স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে গেছে! ক্রিকেট খেলাটাও তার মধ্যে একটি।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। বাংলাদেশেও ফুটবলের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। এখনও আছে। কিন্তু সেটা নিজ দেশের ফুটবল নিয়ে নয়, বিদেশের। মেসি-নেইমার-রোনালদোদের নিয়ে। কিন্তু নিজ দেশের জামাল ভূঁইয়াদের নিয়ে তারা মেতে ওঠে না। কারণ, দেশের ফুটবলের তুমুল জনপ্রিয়তা হারিয়ে গেছে বর্তমান শতাব্দী শুরু হওয়ার আগেই। সে জায়গাটা দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট।
বিশ্বকাপের মঞ্চ অনেক বড় একটি বিষয়। দেশের ফুটবল সে বড় বিষয়টার নাগালের মধ্যেও কখনো যেতে পারবে না। কিন্তু ক্রিকেটে? ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর সেই ক্রিকেটীয় উন্মাদনা তৈরি হলো সারাদেশে, তা কেবল বেড়েই চলেছে।
‘বিশ্বকাপ’- এ শব্দটার মধ্যেই তো যাবতীয় আবেগ-অনুরাগ মিশে থাকে। সব উন্মাদনা-উত্তেজনার পরশ এ শব্দটার মধ্যেই পাওয়া যায়। সেটা যে খেলায়ই হোক। ফুটবল দিয়ে যখন এই স্বাদটা মিটছিল না, তখন সেখানে ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে! এটাই তো অনেক বড় বিষয়। খেলাটা যাই হোক না কেন। ২০০’র বেশি দেশের ফুটবল হোক কিংবা মাত্র ১০ থেকে ১৫টি দেশের (২০০০ সালের আগে) খেলা ক্রিকেট হোক।
ক্রিকের শনৈ শনৈ উন্নতি শুরু ১৯৯৭ সাল থেকে। ১৯৯৯ বিশ্বকাটে স্কটল্যান্ডকে হারানো অনুমিতই ছিল; কিন্তু পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়াটা ছিল স্বপ্নেরও অতীত। তখনকার পাকিস্তান দলটির দিকে তাকালেই ভয় ধরে যেতো যে কারও। সেখানে বাংলাদেশ তাদের হারিয়েছে ৬২ রানের ব্যবধানে!
উন্মাদনার পালে হাওয়াটা জোরালোভাবে লেগে গেলো। ২০০০ সালে পেয়ে গেলো টেস্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা। সবাই তখন থেকেই বলতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের উন্নতি আর ঠেকায় কে?
উন্নতি যে হয়নি তা বলবো না। বিস্তর উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে, ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে। সাফল্য তো কম নয়। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলকে টেস্টে পরাজিত করেছে, ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে।
জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ড- এ দলগুলোকে ঘরের মাঠে বলে কয়ে হারাচ্ছে। এগুলোই তো অনেক বড় উন্নতির সীমারেখা। উন্নতির পারদ এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে, হুজুগে বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্রিকেট নিয়ে বাঁচে, ক্রিকেট খায়, ক্রিকেট নিয়ে ঘুমায়। ঘুম থেকে জেগে ওঠে আবার ক্রিকেট! ক্রিকেট!! করে।
ওই যে হুজুগে বাঙালি- কথাটা বলেছিলাম না! ঘরের মাঠে যখন স্লো অ্যান্ড লো উইকেট বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেলো বাংলাদেশ, তখন এই বাঙালিদেরই আশার বাণী শোনালেন- বাংলাদেশ সেমিফাইনালও খেলতে পারে।
অধিনায়ক শোনালেন, কোচ শোনালেন, টিম ম্যানেজমেন্ট শোনালেন- একই কথা। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে একই আশারবাণী। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে যে দল সিরিজ হারাতে পারে, তাদের আর চিন্তা কিসের। চাই কি বিশ্বকাপটাও হাতে তুলে নিয়ে ফেলেছিল তখন।
যে দলকে বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে, সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলা আফগানিস্তানের সমকক্ষও যে দল হতে পরেনি, তারা স্বপ্ন দেখছিল সেমিতে খেলার। সেমির সমীকরণটা তারা যেভাবে মিলিয়েছিল সেটাও খুব অদ্ভূত।
বাছাই পর্বে যে তিনদলের (স্কটল্যান্ড, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি) মুখোমুখি হবে, তাদের নিয়ে চিন্তা করে লাভ কী? তাদের তো তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে টাইগাররা। সুতরাং তাদের নিয়ে না ভেবে বরং ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে যেহেতু সুপার টুয়েলভে ‘গ্রুপ-২’ তে খেলতে হবে, সেখানকার দলগুলো নিয়েই ভাবতে হবে।
সুতরাং আফগানিস্তান, বাছাই পর্বে ‘এ’ গ্রুপের রানারআপ হিসেবে উঠে আসা দলটিকে তো অনায়াসেই হারাতে পারবে বাংলাদেশ। যদিও আফগানরা একটু কঠিন প্রতিপক্ষ। এ কারণে অনেকেই কীভাবে আফগান বধ করতে হবে সে তরিকাও বাতলে দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের যে কোনো একটিকে হারাতে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে টাইগারদের টার্গেট ছিল কিউই বধ করা। কারণ, ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।
কাগজে-কলমে সব হিসাব প্রস্তুত। একটু ছক কষলেই তো সব পরিষ্কার। একেবারে আয়নার মত ফকফকা। সুতরাং, হুজুগে বাঙালিকে আশা দেখাতে বাধা কোথায়? বাঙালিও আর অতল তলের সন্ধান না করে সেই আশার বাণীতেই অমীয় মনে করে লাফানো শুরু করেছিল।
কিন্তু সব অহমিকায় আঘাত হানলো স্কটল্যান্ড। যে পর্বকে গোনায়ও ধরেনি, সেই পর্বের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের দৃঢ়তার সামনে ৬ রানে লজ্জার হার মানতে বাধ্য হলো। আকাশে উড়তে উড়তে হঠাৎ ডানা ভেঙে মাটিতে পড়ে যাওয়া পাখির মতো অবস্থা হলো টাইগারদের।
চারদিকে সমালোচনার ঝড়। এই ঝড় ওঠাটাই স্বাভাবিক। হুজুগে বাঙালি ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের চটকদার কথায় যারা মজে গিয়েছিলেন, তারা যেমন ব্যবসা লাটে ওঠার পর ধাক্কা খেয়েছিলেন, তেমনি হুজুগে বাঙালি ক্রিকেট নিয়ে আশার বাণী শোনার পর স্কটল্যান্ডের কাছে হারে বড় ধাক্কাটা খেয়ে গেলো। স্বাভাবিকভাবেই বাছ-বিছার না করে সমালোচনাটা একটু বেশি করে ফেলেছিল আবেগপ্রবণ জাতিটি, যা আবার সহ্য হয়নি ক্রিকেটারদের।
প্রথমে সাকিব আল হাসান এসে ঝাঁঝালো ভাষায় বক্তব্য দিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমরা কী বলে আসবো যে সব ম্যাচ হারবো? জয়ের আশা করা কী ছেড়ে দেবো?’ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয় পেয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই বিখ্যাত ক্ষোভ ঝাড়লেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
স্কটল্যান্ড যেহেতু সব হিসাব ওলট-পালট করে দিলো, তখন অগত্যা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপেই খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে ১৭১ রান করার পর বাঙালি তো ধরেই নিয়েছিল, জিতবে এই ম্যাচ। কিন্তু তা কী আর বলতে! খেলার মাঠের চেয়ে কে কী বললো, সে দিকে যাদের মন পড়ে থাকে, তারা কী করে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচগুলো ধরবেন? লিটন দাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ছেড়ে দেয়া বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচই ফেলে দিয়েছিল লিটন।
স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে এসে টিমমেট হিসেবে লিটনের পাশে দাঁড়াবেন যে কেউ। কিন্তু লিটনের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সমালোচকদেরও একহাত নিলেন মুশফিক। সরাসরি বলে দিলেন, সমালোচকরা যেন আয়নায় নিজের মুখটা দেখে।
মুশফিকের কথা শুনে সমালোচকদের চোখ ঘুরে গেছে, জিহ্বা থেমে গেছে। তারা সবাই বসে গেছে আয়নায় নিজের মুখ দেখতে। ফেসবুকে জনপ্রিয় একটি গ্রুপে একজন খুব আক্ষেপ করে কিছু কথা লিখেছেন। মুশফিকের আয়নায় মুখ দেখা সমাচার হিসেবে সেটা তুলে ধরতে চাই।
তিনিও একজন হুজুগে বাঙালি। নিজের মনের কষ্টগুলো তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘মুশফিকুর রহিম গতকাল সমালোচনাকারীদের আয়নায় মুখ দেখতে বলছে। সে অনুযায়ী আয়নায় নিজের মুখটা দেখলাম। আয়নায় একটা বেকুবের মুখ দেখতে পেলাম। যে বেকুবটা গত ৯ বছরে একটাও ম্যাচ দেখা মিস করেনি। হোক সেটা টেস্ট, টি-টোয়েন্টি বা ওডিআই। যার বেশিরভাগই ব্যর্থতায় ভরা ছিল। এই খেলার দিনগুলোর ভেতর ছিল বোর্ড পরীক্ষা (পিইসি, জেএসসি, এইচএসসি, অ্যাডমিশন টেস্ট)। স্কুল-কলেজে না গিয়ে ওনাদের ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট হারা দেখছি। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও শীতের ভোর ৪টায় উঠে নিউজিল্যান্ডের সাথে খেলা দেখছি। যে খেলাগুলোতে জয় তো দূরে থাক ন্যূনতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি। তারপরও দেখেছি।
সত্যিই বেকুব আমরা।
আপনাদের পরিবার টিভিতে যে সোফায় বসে সমালোচনা শুনে ব্যথিত হয়, সেই সোফা টিভি সেটটাও ক্রিকেট খেলে উপার্জন করা টাকা দিয়ে কেনা। এমনকি আপনাদের পেইন কিলারগুলোও। এই টাকা আসতেছে দর্শকরা খেলা দেখতেছে বলেই।
খেলোয়াড়দের বলবো আপনারা নিজেদের মুখটা আয়নাতে দেখেন। তারপর প্রশ্ন করেন, এ যে লাখ লাখ টাকা বেতন, ম্যাচ ফি, বোনাস নিতাছেন; জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে টিভিসি করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতেছেন, তার বিনিময়ে দর্শকদের চোখের জল ছাড়া আর কি দিয়েছেন?’
আসলেই কী বেকুব আমরা? মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রবোধ দিতে বসলাম, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি দেখতে। এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতবে সে আশা করিনি। কিন্তু মিরপুরের মতো স্লো উইকেট পেয়েও নিজেদের ‘টাইগার’ সত্তার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ লিটন-সাকিবরা।
সেখানে মুশফিককে দেখা গেলো একটু সাহস নিয়ে খেলতে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে তো তার অবদান কম নয়। টেস্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন, অনেক অনেক ম্যাচেই দৃঢ়তার পাহাড় দেখিয়েছেন। যে কারণে ভক্তরা ভালোবেসে তার নাম দিয়েছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। হুজুগে বাঙালি আবারও আয়না থেকে মুখ ফিরিয়ে মুশফিককে নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু না, মুশফিক সে আশার কোনো আকুতি হয়তো শোনেননি। খেললেন নিজের খেয়ালখুশি মতো। যে শটটি খেলতে গিয়ে বারবার আউট হয়, সেই রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউর শিকার হলেন।
সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়। সবারই বক্তব্য একটি আয়নায় কী মুশফিক নিজের মুখ দেখেন? হয়তো দেখেছিলেন। তবে উল্টো করে। সে কারণে নিজে ডানহাতি হয়ে আয়নায় উল্টো দেখেছেন নিজেকে বাঁ-হাতি হিসেবে। সে কারণেই উল্টো হয়ে শট খেলতে (রিভার্স সুইপ) খেলতে গেলেন। কিন্তু সেই আয়নাই তার সঙ্গে বিট্রে করলো। লেগ বিফোর আউট করে দিলো! হুজুগে বাঙালি আবারও আশাহত হয়ে গেলো।
আইএইচএস/