লুইস ঝড়ের পরও ১৪৩ রানে থেমে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কচ্ছপ ব্যাটিংয়ে প্রথমাংশে দলকে বিপদে ফেললেন লেন্ডল সিমন্স। পরে গিয়ে গতি বাড়ানোর কাজটা করতে পারেননি ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শিমরন হেটমায়াররা। যে কারণে বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইসের ঝড়ো ফিফটির পরেও বড় হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সংগ্রহ।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে। আসরে প্রথম জয় পেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য এখন ১৪৪ রানের। লুইস খেলেছেন ৩৫ বলে ৬ ছয়ের মারে ৫৬ রানের ইনিংস।
অথচ ব্যাট করতে নেমে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করেন এভিন লুইস। কিন্তু ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দেখা যায় বিনা উইকেটে মাত্র ৬৫ রান। এর পেছনে লুইসের কোনো দায় নেই। পুরোটাই নিতে হবে তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী লেন্ডল সিমন্সকে।
আজ যেন টেস্ট মেজাজ নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ ডানহাতি ওপেনার। ইনিংসের ১৩.২ ওভার পর্যন্ত উইকেটে থেকেও কোনো বাউন্ডারিই হাঁকাতে পারেননি তিনি।
দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করতে সক্ষম হন সিমন্স। তিনি আউট হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন ৩৫ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৫৬ রান করা লুইস এবং তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান (৭ বলে ১২)।
এরপর বেশি কিছু করতে পারেননি ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলরাও। একটি ছক্কা হাঁকালেও ১২ বলে মাত্র ১২ রান করেন গেইল। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ৫ রান। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ২০ বলে ২৬ ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভোর ৫ বলে ৮ রানের সুবাদে ১৪৩ পর্যন্ত যায় দলের সংগ্রহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজের শিকার ২ উইকেট। উইকেট মাত্র ১টি পেলেও কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৪ রানের বেশি দেননি এনরিচ নর্টজে।
এসএএস/এএসএম