ডেলিভারি বয় থেকে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক
কিছুদিন আগেও তিনি ছিলেন একজন ডেলিভারি বয়। মানুষের দ্বারে দ্বারে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়াই ছিলো তার কাজ। সেই ক্রিস্টোফার নিকোলাস গ্রিভস এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বড় তারকা। তার নৈপুণ্যেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে স্কটল্যান্ড।
রোববার রাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ রানের দুর্দান্ত জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ড। ব্যাট হাতে ২৮ বলে ৪৫ ও বল হাতে ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে হারানোর মূল নায়ক লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার গ্রিভস।
ম্যাচ শেষে স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েতজার জানিয়েছেন গ্রিভসের জীবনের আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমের কথা। চলতি মাসেই পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছিলো গ্রিভসের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিলো তার ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ।
স্কটিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘সে সত্যিই অনেক বেশি স্যাক্রিফাইস করেছে। খুব বেশিদিন হয়নি যখন সে অ্যামাজনের হয়ে পার্সেল ডেলিভারি করতো। আর এখন সে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলো।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনেক কম পরিচিত খেলোয়াড় আছে, যাদের আজকের অবস্থানে আসতে অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে। স্কটল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নয় গ্রিভস। সে কঠোর পরিশ্রম করেছে এবং নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে।’
বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদির ঘূর্ণিতে মাত্র ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিলো স্কটল্যান্ড। সেখান থেকে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান গ্রিভস। পরে বল হাতে আউট করেন দুই তারকা ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত গ্রিভস বলেছেন, ‘আমরা খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম। তখন মূলত কাজটা ছিলো, সেখান থেকে ইনিংস পুনর্গঠন করা এবং আমরা কতদূর যেতে পারি, তা দেখা।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমিই সে ব্যক্তি হতে পেরেছি, যার হাত ধরে জয় এসেছে। এটা আমার দিন ছিলো মনে হয়। অন্য দিনে দলের অন্য কোনো খেলোয়াড় এটি করতে পারে। আমি যা করেছি তাতে খুব খুশি।’
এসএএস/এএসএম