হায়দার আলি: হয়ে উঠছেন আরেকজন বাবর আজম

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২১

অনেক দলই এবার অভিজ্ঞদের নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নামবে। পাকিস্তানও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ তারকা নিয়ে দল ঘোষণা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে সে তালিকা থেকে তরুণ হায়দার আলির নাম বাদ পড়াটা জন্ম দেয় খানিক বিস্ময়ের।

কেননা ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে সাম্প্রতিক সময়ে রানের বান ছুটেছে। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলার পরও বিশ্বকাপ দলে তার না থাকাটা অনেকে মেনে নিতে পারেনি।

তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে যা হয় আরকি! শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলের তিন পরিবর্তনে স্কোয়াডে ঢুকে পড়েছেন হায়দার। ফলে উদীয়মান তারকা হিসেবে জীবনের প্রথম বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা চেখে দেখার সুযোগ এখন এই ডানহাতি ব্যাটারের সামনে।

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ফিফটির রেকর্ডটা হায়দারের দখলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজের এই ব্যাটিং ভেলকি দেখানোর আগ থেকেই অবশ্য আলোচনায় হায়দার। সেটা তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের কারণে।

মিডল অর্ডারে কার্যকর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ইনিংসের শেষের দিকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের দক্ষতা, বিশ্বের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের তালিকায় নিয়ে এসেছে হায়দারের নাম।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ শুরুর আগে হায়দার তার ইচ্ছের কথা জানাতে গিয়ে বলেছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে তার একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণে মোটেও সময় লাগেনি তার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের মাত্র এক বছরের মাথায় জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যান হায়দার।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখা তার। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। এত দ্রুতই কেন তাকে জাতীয় দলে ডাকা তা দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলিং কোচ ক্রিস ফন নর্ডউইকের একটি কথাতেই পরিষ্কার হয়ে যায়। যুব দলে প্রতিপক্ষ দলের হায়দারের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে এই প্রোটিয়া জানিয়েছিলেন, সে একজন আন্তর্জাতিক মানের ব্যাটার।

তরুণ হায়দারের ক্রিকেট আদর্শ ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা। তাই তো নিজেও স্ট্রোকমেকার হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছেন দ্রুত। পছন্দের ক্রিকেটারের মতো শুধু মেরেই খেলেন না, ইনিংস বড় করার গুণটাও ভালোই রপ্ত করেছেন তিনি।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক মৌসুমে ৫০ গড়ে তার ৬৪৫ রান সেটাই তো প্রমাণ করে। তবে যুব দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা করে এসেছেন, তা এখন জাতীয় দলের হয়েও করতে হবে তাকে।

টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হলেও পাকিস্তানের হয়ে ১৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৫৬ রান। গড় মাত্র ১৯.৬৯! শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার প্রতিদান এবার তাই বিশ্বকাপে দিতে হবে তাকে। তবেই না, পাকিস্তান ক্রিকেট থেকে উঠতি তারকার তকমা ঝেড়ে দ্রুতই আরেকটি বাবর আজম উঠে আসার পথ পরিষ্কার হবে।

এসএস/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।