অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিনটি কাজ করতে চান পাপন
খণ্ডকালীন ৮ মাসের জন্য সভাপতির দায়িত্বকালীন সময়কে ব্র্যাকেটবন্দি করলে এনিয়ে তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব নিলেন নাজমুল হাসান পাপন। আগামী ৪ বছরের জন্য তিনি আবার দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার প্রধান।
আজ (বৃহস্পতিবার) দায়িত্ব প্রাপ্তির পর প্রথম মিডিয়া সেশনেই নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি বিগ বস। অনেক উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে তিনি তিনটি কাজকে অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছেন।
তার ভাষায়, ‘আমি তিনটি কাজকে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিচ্ছি। নাম্বার ওয়ান হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। পূর্বাচলের এ স্টেডিয়ামের কাজ যতটা সম্ভব দ্রুত চালু করা। দ্বিতীয় হলো, সংবিধানে পরিবর্তন আনা। আর তৃতীয় হলো আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করা।’
আবার বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর আপনার লক্ষ্য কী? আপনি প্রথমেই কোন কাজগুলো করতে চান? জবাব দিতে গিয়ে নাজমুল হাসান পাপন পরিচালকদের জানিয়ে দিয়েছেন, এখনো অনেক কাজ বাকি।
তিনি বলেছেন, ‘আজ আমাদের পরিচালক পর্ষদ সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেছি আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। পূর্বাচলের ঐ স্টেডিয়াম আমাদের যতো দ্রত সম্ভব চালু করতে হবে।’
কারণ ব্যাখ্যা করে বিসিবি বিগ বস বোঝানোর চেষ্টা করেন, ঐ স্টেডিয়াম নির্মাণের ওপর আইসিসি ইভেন্টের স্বাগতিক হওয়া না হওয়া অনেকখানি নির্ভর করবে। তার ভাষ্য, ‘আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এই স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাবো না। তাই এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’
দ্বিতীয় লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হলো সংবিধান। পরিচালকদের বলেছি সংবিধানে কোথায় কী পরিবর্তন আনা যায় তা খুঁটিয়ে দেখতে। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে।’
সংবিধানে পরিবর্তন আনার সম্ভাব্য জায়গাও চিহ্নিত করে ফেলেছেন তিনি। তার প্রস্তাব, ‘আমাদের এখানে এতগুলো ক্লাব অংশ নেয়। অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নাই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’
অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে (প্রিমিয়ার, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ) যে দলগুলো অংশ নেয়, তাদের সবার কাউন্সিলরশিপ থাকা উচিৎ। আর যে বা যারা সে অর্থে ত্রিকেটীয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত নয়, তাদের কাউন্সিলরশিপ রাখা হবে কি না? তা খুঁটিয়ে দেখার ইঙ্গিতও দেন।
এছাড়া আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরির কাজ বেগবান এবং সঙ্গে কাঠামোগত উন্নয়নের চিন্তাও পাপনের মাথায়, ‘ক্রিকেট একাডেমি এরই মধ্যে এক জায়গায় হয়েছে, আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়সভিত্তিকের জন্য ডেডিকেটেড একাডেমি হবে।’
‘এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে, উন্নত একাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে ডেডিকেটেড। যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক ডেডিকেটেড কোচ থাকবে। এছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরো বেশি খেলাতে চাই। আর এই মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করবে।’
এআরবি/এসএএস/জেআইএম