জিম্বাবুয়েতে জিতে যে আত্মবিশ্বাস ছিল সেটাও খোয়া গেছে : ফাহিম
জিম্বাবুয়ের মাটিতে জয়ের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দাপুটে সিরিজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টানা তিন সিরিজ জয়কে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
কোচ, অধিনায়কসহ সবার বদ্ধমূল ধারণা, এ তিন সিরিজ জয়ই বিশ্বকাপে দলের ভালো খেলার বড় রসদ হবে। আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে পারবে টাইগাররা। আসলেই কি তাই?
সমালোচক-বিশ্লেষকদের কেউই তা মনে করছেন না। স্থানীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ জয়ে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। ধীর ও নিচু বাউন্সের পিচে খেলে খেলে ব্যাটসম্যানদের ভালো খেলার আস্থা গেছে কমে। হাত খুলে স্ট্রোক খেলার মানসিকতা আর অভ্যাসও নষ্ট হয়েছে।
আর বোলাররা একদম বিনা বাধায় উইকেট পেয়ে লড়াই-সংগ্রাম করতে গেছেন ভুলে। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুমেরাং হতে পারে টিম টাইগারের জন্য। দেশের ক্রিকেটের নামি প্রশিক্ষক, বিকেএসপির প্রধান পরামর্শক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও তেমনটাই মনে করেন।
তার মতে, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দল আসলে খুব ভালো অবস্থায় নেই। বরং জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসার পর এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো অবস্থায় ছিল। তার অনুভব, ওমানের প্র্যাকটিস সেশনগুলো আর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ফাহিমের মূল্যায়ন, ‘জিম্বাবুয়ে দল হিসেবে দুর্বল হলেও তাদের কন্ডিশন বিশেষ করে বাড়তি বাউন্সটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। আমাদের ছেলেরা সে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছে সাফল্যের সঙ্গে। চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে টি-টোয়েন্টিতে লড়াই-সংগ্রাম করে জিতে এসেছিল। তাতে প্রাপ্তি ছিল। আত্মবিশ্বাস ও আস্থা বাড়ানোর রসদ ছিল। কিন্তু জিম্বাবুয়ে থেকে ফেরার পর ক্রিকেটারদের বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের চনমনে ভাবটা আর নেই। স্লো ও লো পিচে খেলে সব খোয়া গেছে।’
হারানো সেই আত্মবিশ্বাস ফেরাতে ফাহিমের প্রেসক্রিপশন হলো, ‘ওমানের প্রস্তুতিপর্বটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। বাছাইপর্বের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে আছে, সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। ওই দুটি ম্যাচ আমরা কেমন খেলি, সেটাও দেখার। সেখানে ভালো খেলে ভালোমত জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাতে কনফিডেন্স লেভেলটা ফিরে আসতে পারে।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস