যে কারণে চারদিনের ম্যাচে খেলছেন না মুমিনুল
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। দেশের দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বতারকা সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএল খেলতে চলে গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাকি বহরের কেউ বিশ্রামে, কেউবা আবার হোম অব ক্রিকেটে নিজ উদ্যোগে অনুশীলনে। কিন্তু শুধু টি-টোয়েন্টি নিয়ে পড়ে থাকলেই হবে? ১৪ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার ঠিক পরদিনই যে চলে আসছে পাকিস্তান! সফরে দুই টেস্ট আর তিন ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তানিরা।
সেই টেস্ট সিরিজের পূর্ব প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বাইরে থাকা শুধু টেস্ট স্পেশালিস্টদের ‘এ’ দলের হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হয়েছে সেই ম্যাচ। ‘এ’ দলে টেস্ট ওপেনার সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন আর নাইম হাসানরা থাকলেও খেলোয়াড় তালিকায় নেই মুমিনুল হকের নাম। তার বদলে ‘এ’ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিঠুন।
কেন মুমিনুল দলের বাইরে? টেস্ট অধিনায়ক নিজেই দিলেন সেই প্রশ্নের জবাব। জাগো নিউজের সাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মুঠোফোন আলাপে মুমিনুল বলেন, ‘পারিবারিক কারণে আমি প্রথম চারদিনের ম্যাচটি খেলতে পারছি না। আশা করছি, দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচে খেলব।’
জানা গেছে, মুমিনুলের আব্বা অসুস্থ ছিলেন। তার সেবা সারাক্ষণ পাশে ছিলেন মুমিনুলই। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারায় এই ম্যাচ থেকে সরে গেছেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক।
জুলাইতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার পর মাঝে দুই মাস টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজই খেলেছে। কিন্তু সামনেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যেটি আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই লাল বলে অনুশীলনটা খুব জরুরি খেলোয়াড়দের জন্য।
টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের সেই সুযোগ করে দেয়ায় বিসিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুমিনুল। তার কথা, ‘সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চারিদিকে হৈ চৈ। আমাদের জাতীয় দলের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের সাথে পাঁচ ম্যাচের দুটি সিরিজ হয়ে গেলো। ঠিক তার পরপরই টেস্ট স্পেশালিস্টদের ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমার কাছে এ উদ্যোগকে খুব ভালো মনে হয়েছে। আমার জানা নেই আগে এমনটা করা হয়েছে কি না।’
এ দুটি ম্যাচ অনেক কাজে লাগবে মনে করছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমি এবং টেস্ট দলের অনেক সদস্য টি-টোয়েন্টি দলে নেই। যে কারণে আমাদের প্র্যাকটিস ও ম্যাচ খেলার সুযোগ হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আমাদের দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেয়াটা একটা সময়োচিত সিদ্ধান্ত। আমরা কজন এই দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। এতে করে ফিটনেস, পারফরম্যান্সসহ সব কিছু যাচাই করে নেয়ার সুযোগ হবে। আমিও দেখতে পারব কার কি অবস্থা, সবাই নিজ নিজ প্রস্তুতি নিতে পারবে। একটা বন্ধন তৈরি হবে।’
মুমিনুল যোগ করেন, ‘এ ধরনের ম্যাচ খেলতে পারলে আসলে নিজেকে ভালোমত তৈরি করা যায়। আমি মনে করি এটা খুবই উদ্যোগ। এমন ম্যাচ যত বেশি খেলা যাবে, তত ভালো। তাতে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট চর্চাটা থাকবে। লাল বলে খেলার ধৈর্য, টেকনিক, মনোযোগ-সবই বাড়বে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম