নতুন বলে বল করলে তো উপভোগ করতেই হয় : শেখ মেহেদি
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংটাও পারেন। কখনও নিচের দিকে, কখনও মিডল অর্ডার আবার মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ওপেনও করেছেন শেখ মেহেদি হাসান।
তবে মেহেদির পরিচিতিটা বেশি অফস্পিন বোলিংয়ে। এমন নয় বল হাতে তার আছে আকাশছোঁয়া সাফল্য। শেখ মেহেদি সবার নজর কেড়েছেন আসলে নতুন বলে বোলিং করে।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশে যত অফস্পিনার আছে তার মধ্যে মেহেদিই একমাত্র বোলার, যিনি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় নিয়মিতই বোলিংয়ে ওপেন করেন।
তার ক্যারিয়ারে মোট টি-টোয়েন্টি ম্যাচই ১৪টি। এর মধ্যে ৭ ম্যাচে তিনি বল হাতে ওপেন করেছেন। প্রথমবার শেখ মেহেদি বল হাতে শুরু করেন গত বছর পাকিস্তানের সাথে (২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি লাহোরে)। এরপর আরও ছয়বার ওপেন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে নিয়মিতই এই ভূমিকায় দেখা গেছে এবং বেশিরভাগ সময় প্রথম অথবা দ্বিতীয় ওভারে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন খুলনার এ ২৬ বছর বয়সী অফস্পিনার।
একজন অফস্পিনার হয়ে নতুন বলে ওপেন করাই কঠিন। যেখানে পাওয়ার প্লে চলতে থাকে। দুজনার বেশি ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে রাখার সুযোগ নেই। সেখানে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে হাত খুলে আক্রমণাত্মক শটস খেলা থেকে বিরত রাখা এবং ব্রেক থ্রু দেয়া খুব কঠিন। কিন্তু মেহেদি সে কাজটি বেশ দক্ষতার সাথে করে আসছেন। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ ওপেনারদের ভেতর বাঁহাতি কেউ থাকলে তার কার্যকরিতা থাকে অনেক বেশি।
মেহেদি এ চ্যালেঞ্জটা কিভাবে দেখেন? নতুন বলে ওপেন করতে কেমন অনুভব করেন? তরুণ এই স্পিনার বলেন, ‘নতুন বলে বল করলে উপভোগ তো করতেই হয়। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, মাঝেমধ্যে মার খেলে তো উপভোগটা থাকে না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, অনেক চিন্তা ভাবনা করে বল করতে হয়। কম সময়ের খেলা। তাৎক্ষণিক অনেক কিছু করতে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন বলের ভূমিকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
বোলিংয়ের সময় কী মাথায় থাকে, সেটাও জানালেন মেহেদি। তার কথা, ‘যদি আমি সফল হতে পারি, তাহলে দলের জন্য ভালো। পাওয়ার প্লে ভালোভাবে পার করে দেওয়া যায়। দেখা গেল আপনি একটা ওভার ভালো করতে পারলেও অন্য প্রান্ত থেকে বেশি রান হতে পারে। এই কম্বিনেশনটা ধরে রেখে বল করতে হয়। দলের মূল অফস্পিনার হিসেবে দায়িত্ব তো থাকেই। এছাড়াও আমাদের দলে আরও অলরাউন্ডার আছেন, যারা অফ স্পিন করে থাকেন, রিয়াদ ভাই, মোসাদ্দেক, আফিফ। মূল অফ স্পিনার হিসেবে আমার তো একটু দায়িত্ব থাকেই।’
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ