ইংল্যান্ডকে ধুয়ে দিলেন বয়কট, ‘নির্বোধরা কখনও টেস্ট জেতে না’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২১

চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার লর্ডস টেস্ট। ম্যাচের শেষ দিন প্রথম সেশনে মনে হচ্ছিল, কীভাবে ম্যাচ বাঁচাবে ভারত? কিন্তু শেষ সেশনে পুরো চাপ গিয়ে পড়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাঁধে। শেষ পর্যন্ত আর পারেনি ইংল্যান্ড, হেরে গেছে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ ওভারে ২৭২ করতে হতো ইংল্যান্ডকে। তখন তাদের সামনে খোলা ছিল দুইটি পথ। হয়তো আক্রমণাত্মক খেলে রান তাড়া করে ফেলা। অন্যথায় পুরো ৬০ ওভার খেলে ম্যাচ ড্র করে নেয়া। কিন্তু কোনোটিই পারেনি জো রুটের দল।

ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় মাত্র ৫১.৫ ওভারে ১২০ রানে অলআউট হয়েছে ইংল্যান্ড। দলের এমন পারফরম্যানসে ক্ষুদ্ধ ও বিরক্ত ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ব্যাটসম্যান জেওফ বয়কট। তার মতে, লর্ডসে নির্বোধের মতো খেলেছে ইংলিশরা।

দ্য টেলিগ্রাফে লেখা নিজের কলামে বয়কট লিখেছেন, ‘এই ম্যাচটি আমাদের সামনে দুইটি জিনিস প্রমাণ করে দিয়েছে। প্রথমত, আপনি যদি নির্বোধ হন তাহলে টেস্ট ম্যাচ জেতা ডিজার্ভ করেন না। অসাধারণ ব্যাটিংয়ের জন্য আমরা জো রুটকে যতোই ভালোবাসি না কেন, সে অধিনায়কত্বের ট্যাকটিকসে বড়সড় গড়বড় পাকিয়েছে।’

দ্বিতীয় বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়ত, দলের সব রানের জন্য পুরো ইংল্যান্ড দল জো রুটের ওপর নির্ভর করে থাকতে পারে না। দ্রুতই ওপরের তিন ব্যাটসম্যানকে রানে ফিরতে হবে। কারণ পুরো বিষয়টিকে একটা কৌতুক বানিয়ে ফেলছে।’

ম্যাচের শেষ দিন হাতে ৫ উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। একপর্যায়ে মাত্র ২০৯ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তখন তাদের লিড ছিল ১৮২ রানের। সেখান থেকে নবম উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন দুই পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামি। যার সুবাদে লিড বেড়ে হয় ২৭১ রান।

শামি-বুমরাহ দুজনই খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। শামি ৫৬ ও বুমরাহ অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে। এ দুজনকে আউট করার কোনো পথই যেন খুঁজে পাচ্ছিল না ইংল্যান্ড। উল্টো একের পর এক বাউন্সার মেরে যেন তাদেরকে আহত করার পণই করেছিল তারা।

এ বিষয়ে ইংল্যান্ড দলের সমালোচনায় বয়কট লিখেন, ‘যখন জাসপ্রিত বুমরাহ উইকেটে এলো, মনে হচ্ছিল যেন রেগে থাকা ষাঁড়ের সামনে লাল কাপড় ওড়ানো হয়েছে। তাকে দেখেই মার্ক উড একের পর এক শর্ট বল করতে থাকে। এটা নিশ্চিত যে, ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ও কয়েকজন খেলোয়াড় মিলে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছিল।’

‘প্রথম ইনিংসে জিমি অ্যান্ডারসনকে বুমরাহ যে টানা বাউন্সার করেছিল, তার জবাব দিতে চেয়েছিল ফাস্ট বোলাররা। বাচ্চাসুলভ আবেগ গ্রাস করে ফেলেছিল ইংল্যান্ডকে। ফাস্ট বোলাররা হয়তো মাথা গরম করতে পারে। এসময় অধিনায়ককে মাথা ঠান্ডা রেখে সামাল দিতে হয়। জো রুট এখানে খেই হারিয়ে ফেলেছে।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।